২০১৬ সালের আগষ্টের বন্যায় রংপুর নগরীর কুকরুল এলাকার ব্রিজটি ভেঙে যায়। ফলে সিটি কর্পোরেন পরের বছরের ২৩ মে নতুন ব্রিজ নির্মাণে দরপত্র আহ্বান করে। পরে সেটি নির্মাণের কাজ পায় ‘শহীদ ব্রাদার্স’ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। গত বছরের ২ জুন সেতুটির নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু এখন পর্যন্ত তা হয়নি।
পুরণো ব্রিজ অপসরাণ করে সেখানেই নতুনটির কাজ শুরু হয়। ফলে চলাচলের জন্য মাটি ও বাঁশ দিয়ে বিকল্প রাস্তা তৈরি করা হয়। শুস্ক মৌসুমে বিকল্প রাস্তাটি দিয়ে লোকজন চলাচল করলেও গত কয়েক দিনের ভারী বর্ষণে সেটি চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন কয়েক হাজার মানুষ।
জানা গেছে, সড়কটি দিয়ে নগরীর কুকরুল, আমাশু, বালাটারি, জলছত্র, খটখটিয়া এবং গঙ্গাচড়া উপজেলার গজঘণ্টা ইউনিয়নের আরও পাঁচ গ্রামের মানুষ নিয়মিত চলাচল করেন।
এসব এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, বিকল্প রাস্তা দিয়ে শুষ্ক মৌসুমে কষ্ট হলেও চলাচল করা গেছে। কিন্তু বর্ষায় চলাচল কষ্টকর হয়ে পড়েছে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, পানিতে নির্মানাধীন ব্রিজটি ডুবে গেছে। বিকল্প রাস্তার ওপর দিয়ে বইছে পানি। সেই পানি ডিঙিয়ে মানুষ কোনো রকমে চলাফেরা করছে।
স্থানীয় বাসীন্দা মাসুম মিয়া রাতদিননিউজকে বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে আমরা কষ্ট করে এই রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করছি। বর্ষায় আসায় সেই কষ্ট আরও বেড়েছে।’
কুকরুল এলাকার মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘একটা ব্রিজ করতে এক বছরের কাজ দুই বছরেও হয় না। এখন রাস্তা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, পানিতে সব সমান।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রংপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন, ‘এটি আগের মেয়রের সময় টেন্ডার হয়েছিল। তবে ঠিকাদারকে তাগাদা দেওয়ায় আবারও কাজ শুরু হয়েছে।’ কয়েকমাস পর মানুষের আর দুর্ভোগ থাকবে না বলে জানান মেয়র।
এইচএ/রাতদিন