রংপুর বিভাগে ফের করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়েছে। গত চার দিনে করোনায় আক্রান্ত হয়ে তিন জন মারা গেছেন। অন্যদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ জন। এর মধ্যে সাত জনই রংপুর নগরীর বাসিন্দা।
আজ শুক্রবার, ১৯ মার্চ বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক আব্দুল আহাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, স্বাস্থ্যবিধি না মানা, মাস্ক না পরাসহ বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতর পরিচালকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত চার দিনে তিন জন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। এর মধ্যে নীলফামারীতে একজন এবং বাকি দু’জনের বাড়ি রংপুর নগরীতে। এ নিয়ে রংপুর বিভাগে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩১১ জন।
রংপুর মেডিক্যাল কলেজ ও দিনাজপুর মেডিক্যাল কলেজে করোনা পরীক্ষার জন্য দুটি পিসিআর ল্যাব রয়েছে। এক মাস আগেও করোনা সংক্রমণের হার একেবারে কমে গিয়েছিল। সর্বশেষ ১৬ ও ২০ ফেব্রুয়ারি টেস্টে একজনও করোনা পজিটিভ আসেনি। ১ মার্চ থেকে হঠাৎ করে করোনা সংক্রমণের হার বাড়তে শুরু করে বলে স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে। ওই দিন দুই জন, এর পর থেকে প্রতিদিনই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।
রংপুরের সিভিল সার্জন ডা. হিরম্ব কুমার রায় জানান, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিপূর্ণ জেলা হওয়া সত্বেও নগরীসহ পুরো জেলায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়ে উদাসীনতা দেখা গেছে। দল বেধে হোটেলে বসে থাকা, হাট-বাজার করা, কোনও কারণ ছাড়াই নগরীতে ঘুরে বেড়ানো বন্ধ করা সম্ভব হচ্ছে না। এছাড়া মাস্ক ব্যবহারের হার শহরে কিছুটা থাকলেও গ্রামে তা নেই বললেই চলে।
সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক আব্দুল আহাদ বলেন, করোনা প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, মুখে মাস্ক ব্যবহার করার বিষয় মানছেন না বিভাগের অধিকাংশ মানুষ। ফলে হঠাৎ করে করোনা সংক্রমণের হার বাড়ছে।
এবি/রাতদিন