ট্রেনে ফেলে যাওয়া মূল্যবান লাগেজ ফিরে পেল কালীগঞ্জের ইউনুছ

রেলের নিরাপত্তা বাহিনীর অনন্য দৃষ্টান্ত

আন্তঃনগর ট্রেনের এক যাত্রীর ফেলে যাওয়া লাগেজ ফিরিয়ে দিয়ে ভালো কাজের এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্হাপন করলেন রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর (আরএনবি) সদস্যরা।

আজ সোমবার, ৩১ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ৮ টায় ট্রেন যাত্রীর ফেলে যাওয়া লাগেজ তার হাতে তুলে দিয়ে আরএনবি সদস্যরা এই অনন্য দৃষ্টান্ত স্হাপন করেন।

জানা গেছে, ঢাকা থেকে রংপুরগামী রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনটি রবিবার রাতে রংপুর স্টেশনে এসে পৌঁছে। সোমবার ট্রেনটির অফ-ডে থাকায়  খালি রেক রংপুর হতে এস্কর্ট করে লালমনিরহাট স্টেশনে আসার সময় কর্তব্যরত রংপুর ইউনিটের আরএনবি সিপাহী মোঃ আলমগীর হোসেন এবং মোঃ আঙ্গুর হোসেন মালামাল বোঝাই একটি লাগেজ দেখতে পায়।

বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে এসআই/আরএনবি/লালঃ(জি) মোঃ গোলাম রাসুল সরকারকে মোবাইল মারফত জানালে তিনি লালমনিরহাট পৌছার পর লাগেজটি অফিসে নিয়ে আসতে বলেন। পরবর্তীতে লাগেজ খুলে দেখতে পাওয়া যায়, লাগেজের অভ্যন্তরে অনুমান ০২(দুই)ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার, নগদ অর্থ এবং  মুল্যবান পোষাক সামগ্রী রয়েছে । সাথে সাথেই সাব-ইন্সপেক্টর রংপুর স্টেশনের কর্মরত এএসআই মোঃ জুয়েল মন্ডলকে বিষয়টি  অবগত করেন এবং কোনো যাত্রী লাগেজের সন্ধান করলে তাকে জানাতে বলেন।

পরবর্তীতে রংপুর ইউনিটের অন ডিউটি সিপাহী মোঃ আঃ রউফ মিয়া লাগেজের মালিকের সন্ধান পাওয়া গেছে বলে সাব-ইন্সপেক্টরকে অবগত করেন। সাব-ইন্সপেক্টর উক্ত মালিককে লালমনিরহাট আরএনবি চৌকিতে হাজির হয়ে উপযুক্ত প্রমান সাপেক্ষে লাগেজটি সংগ্রহ করতে বলেন।

সেই মোতাবেক সোমবার  সকাল সাড়ে ৮ টায় লাগেজের মালিক মোঃ শাহ আলম মিয়া, আরএনবি চৌকি লালমনিরহাটে এলে এসআই/আরএনবি/লালঃ(জি) মোঃ গোলাম রাসুল সরকার, এমটি রেকে কর্মরত সিপাহী মোঃ আলমগীর হোসেন, মোঃ আঙ্গুর হোসেন এবং ফাইল ইনচার্জ নায়েক মোঃ রাকিব হাসানের উপস্থিতিতে ওই ব্যক্তির আমানত সম্পূর্ণ অক্ষত অবস্থায় তার নিকট হস্তান্তর করে এই অনন্য দৃষ্টান্ত স্হাপন করেন ৷

জানা যায়,লাগেজের মালিক মোঃ শাহ আলম মিয়া লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ থানাধীন কাঞ্চনসর গ্রামের ইউনুস আলীর পুত্র এবং সে সেনাবাহিনীর একজন সদস্য।

এ ব্যাপারে তাঁর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আরএনবি সদস্যরা লাগেজটি উদ্ধার করে সম্পুর্ন অক্ষত অবস্থায়  আমাকে ফিরিয়ে দিয়েছেন। এ জন্য আমি খুশী এবং তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই।

রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর (আরএনবি) চীফ কমান্ডেন্ট (পশ্চিম) আশাবুল ইসলাম তাঁর বাহিনীর সদস্যদের এ ধরনের ভালো কাজের জন্য  সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলেন, বাহিনীর প্রধান হিসেবে বাহিনীর সদস্যরা ভালো কাজ করলে নিজেকে গর্বিত মনে হয়।