গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. নবীনেওয়াজের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মতিন। করোনাভাইরাসের বিস্তাররোধে সাদুল্লাপুর উপজেলায় লকডাউনের ঘোষণা দেয়ার কারণেই ইউএনওর বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক জানিয়েছেন, সাদুল্লাপুর লকডাউন নয়। সেখানকার একটি পরিবারকে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।
আজ রোববার, ২২ মার্চ উপজেলা করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সিদ্ধান্তের আলোকে ইউএনও লকডাউনের সিদ্ধান্তের কথা এক চিঠিতে জানানোর পর ধোঁয়াশা তৈরি হয়।
সাদুল্যাপুর উপজেলার ইউএনও মোহাম্মদ নবী নেওয়াজ স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে বলা হয়, গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার ৯নং বনগ্রাম ইউনিয়নের হাবিবুল্লাপুর গ্রামের একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে অংশ নেন করোনায় আক্রান্ত দুই যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী। রোববার তাদের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। ওই বিয়ে অনুষ্ঠানে সাদুল্লাপুর উপজেলার পাঁচ শতাধিক মানুষ অংশ নিয়েছেন।
পরবর্তিতে ওই দাওয়াতে যাওয়াদের অনেকেই গতকাল শনিবার গাইবান্ধা-৩(সাদুল্লাপুর-পলাশবাড়ি) আসনে অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনেও ভোট দিতে গিয়েছিলেন। এই অবস্থায় করোনাভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে পারতে বিবেচনায় নিয়ে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলেও ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
রোববার বিকালে রাজধানীর মহাখালীর বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিসিয়ানস অ্যান্ড সার্জনস (বিসিপিএস) মিলনায়তনে রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা সংবাদ সম্মেলন করে জানান, বাংলাদেশে নতুন করে আরও তিনজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। নতুন তিনজন আক্রান্তের মধ্যে সাদুল্লাপুর উপজেলার দুজন রয়েছেন বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে সিভিল সার্জন ডা. এবিএম আবু হানিফ বলেন, লকডাউন সংক্রান্ত চিঠিটি ভুল বোঝাবুঝির কারণে হয়েছে। মূলত ওই বাড়ি এবং আশপাশের এলাকার লোকজনকে ঘরের বাইরে বের না হওয়ার জন্য এবং করোনা সংক্রান্ত নির্দেশনা মেনে চলার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা সেখানে অবস্থান করছে।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মতিন বলেন, সাদুল্লাপুরে লকডাউন করা হয়নি। এখানে একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। চিঠিটা আমি দেখেছি। চিঠি যিনি ইসু করেছেন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সাদুল্লাপুরে কোন রোগী শনাক্ত হয়নি।
এবি/রাতদিন