লালমনিরহাটে শুভ ‘হত্যার’ বিচার দাবিতে মানববন্ধন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও একটি মোবাইল ফোন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের টেরিটরি ম্যানেজার জাকারিয়া বিন হক শুভ হত্যা মামলা সুষ্ঠু তদন্তসহ দ্রুত আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে আজ মঙ্গলবার, ২৯ সেপ্টেম্বর বিকেলে লালমনিরহাট শহরের মিশনমোড়ে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়স্থ লালমনিরহাট জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতি মানববন্ধনের আয়োজন করে।


এসময় বক্তব্যে লালমনিরহাট জেলা ছাত্রকল্যাণ সমতির সাবেক সভাপতি মাসুদ মাজাহার বলেন, শুভকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চলছে। দ্রুত তদন্ত ও বিচারে ব্যবস্থা করা না হলে ঢাকাসহ সারাদেশে আন্দোলন শুরু করা হবে’।


মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন নিহত শুভর বড়ভাই আজাদ জান্নাতুল হক লেবু, মামা খলিলুর রহমান, ছাত্রকল্যাণ সমিতির সাবেক সভাপতি মনিরুজ্জামান মানিক প্রমূখ। মানববন্ধন শেষে শুভর আত্মার শান্তি কামনায় দোয়া করা হয়।

নিহত জাকারিয়া বিন হক শুভ লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার উত্তর ঘনেশ্যাম (এমসি মোড়) এলাকার প্রয়াত কলেজ শিক্ষক আব্দুল হকের ছেলে।


রাজধানীর মোহাম্মদপুরের তাজমহল রোডে শুভ ও তার স্ত্রী বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন। গত বৃহস্পতিবার রাতে ওই বাসার বেডরুমের মেঝে থেকে শুভর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় পরদিন তার বড়বোন হাসিনা নাজনিন বিনতে হক বাদি মোহাম্মদপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় শুভর স্ত্রী শেহনীলা নাজ শেন ও শাশুড়ি আছমা বেগমসহ অজ্ঞাতদের আসামি করা হয়েছে। তবে পুলিশ এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

জাকারিয়া বিন হক শুভ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ১৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। লেখাপাড়া শেষে তিনি যোগ দেন একটি দেশীয় মোবাইল ফোন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের টেরিটরি ম্যানেজার হিসাবে। আর তার স্ত্রী শেহনীলা নাজ শেন একই বিশ^বিদ্যালয় থেকে ইংরাজি বিষয়ে লেখাপড়ে যোগ দেন একটি বেসরকারি বিশবিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসাবে। শুভর শাশুড়ি আছমা বেগম রাজধানীর একটি রেসিডেনসিয়াল কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল।

শুভর মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত স্ত্রীসহ শশুর বাড়ির লোকজন কোনো ধরণের যোগোযোগ বা খোঁজ রাখেনি বলে জানিয়েছেন নিহতের পরিবার।

এবি/রাতদিন