১০ জেলায় গত ৫ ডিসেম্বর থেকে করোনা শনাক্তে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট শুরু করে সরকার। আজ শুক্রবার, ১৮ ডিসেম্বর থেকে আরও ১৯ জেলার ২০টি ল্যাবরেটরিতে অ্যান্টিজেন টেস্ট শুরু হয়েছে। এতে অ্যান্টিজেন টেস্ট ল্যাবরেটরির সংখ্যা দাঁড়ালো ৩০টিতে।
আজ শুক্রবার করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
অ্যান্টিজেন টেস্ট শুরু হওয়া নতুন ১৯ জেলা হলো:
ঢাকা বিভাগে শরীয়তপুর জেলা হাসপাতাল, রাজবাড়ী জেলা হাসপাতাল, সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও কেরানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।
চট্টগ্রাম বিভাগে রয়েছে বান্দরবান জেলা হাসপাতাল। ময়মনসিংহ বিভাগে নেত্রকোণা জেলা হাসপাতাল। রাজশাহী বিভাগে পাবনা জেলা হাসপাতাল, নাটোর জেলা হাসপাতাল ও নওগাঁ জেলা হাসপাতাল।
রংপুর বিভাগে রয়েছে কুড়িগ্রাম জেলা হাসপাতাল, ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতাল, লালমনিরহাট জেলা হাসপাতাল, নীলফামারী জেলা হাসপাতাল।
সিলেট বিভাগে রয়েছে হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ ও মৌলভিবাজার জেলা হাসপাতাল।
খুলনা বিভাগে রয়েছে মাগুরা জেলা হাসপাতাল এবং বরিশাল বিভাগে রয়েছে পিরোজপুর ও ঝালকাঠি জেলা হাসপাতাল।
এর আগে গত ৫ ডিসেম্বর পঞ্চগড়, গাইবান্ধা, জয়পুরহাট, পটুয়াখালী, মেহেরপুর, মুন্সীগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, যশোর ও মাদারীপুর সদর হাসপাতাল এবং সিলেটের শহীদ শামসুদ্দিন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে অ্যান্টিজেন টেস্ট শুরু হয়।
উল্লেখ্য, গত মার্চে বাংলাদেশে করোনার সংক্রমণ শুরুর পর থেকে কেবল আরটি-পিসিআরের মাধ্যমে করোনার নমুনা পরীক্ষা হচ্ছে। অথচ পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানোর জন্য র্যাপিড টেস্টের জন্য বারবার পরামর্শ দিয়ে আসছিলেন বিশেষজ্ঞরা। সর্বশেষ গত ১৭ সেপ্টেম্বর কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় পরামর্শক কমিটিও তাদের সভায় পিসিআর পরীক্ষার পাশাপাশি অ্যান্টিজেন ও অ্যান্টিবডি টেস্ট কার্যক্রম চালুর পরামর্শ দেয়।
এবি/রাতদিন