শাবনূরের সংসার ভেঙে গেছে, এমন একটি গুঞ্জন গত কয়েক বছর ধরে শোনা যাচ্ছিলো। অবশেষে গুঞ্জনই সত্যি হলো। ‘বনিবনা না হওয়ায়’ স্বামী অনিক মাহমুদ হৃদয়কে ডিভোর্স দিয়েছেন শাবনূর।
গত ২৬ জানুয়ারি স্বামী অনিককে তালাক দিয়েছেন শারমীন নাহিদ নূপুর ওরফে শাবনূর। নায়িকার সই করা নোটিশটি এডভোকেট কাওসার আহমেদের মাধ্যমে পাঠানো হয়েছে।
এডভোকেট কাওসার আহমেদ জানান, নোটিশে মাদকাসক্ত হয়ে স্ত্রী শাবনূরকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয়েছে অনিকের বিরুদ্ধে।
শাবনূরের পাঠানো তালাক নোটিশের অনুলিপি তার স্বামী অনিকের এলাকার আইন ও সালিশ কেন্দ্রের চেয়ারম্যান এবং কাজী অফিস বরাবরও পাঠানো হয়েছে। এই তালাক নোটিশে সাক্ষী রয়েছেন মো. নুরুল ইসলাম ও শামীম আহম্মদ নামে দুজন।
শাবনূর বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ায় রয়েছেন। তার অস্ট্রেলিয়ার নম্বরে ফোন করে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
তালাকের নোটিশ এবং হলফনামা প্রস্তুতকারী অ্যাডভোকেট কাওসার আহমেদ বলেন, ‘গত ২৬ জানুয়ারি অনিকের সঙ্গে বিবাহ বন্ধন ছিন্ন করেছেন শাবনূর। গত ৪ ফেব্রুয়ারি অনিকের উত্তরা এবং গাজীপুরের বাসার ঠিকানায় সেই নোটিশ পাঠানো হয়। উত্তরার নোটিশটি ফেরত এলেও গাজীপুরের ঠিকানায় পাঠানো নোটিশ এখনো ফেরত আসেনি। ধরে নিচ্ছি তিনি সেটি পেয়েছেন এবং গ্রহণ করেছেন।’
তিনি বলেন, ‘আইনগতভাবে ৯০ দিন পর তাদের এই তালাক কার্যকর হবে।’
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ৬ ডিসেম্বর অনিক মাহমুদ হৃদয়ের সঙ্গে আংটি বদল করেন শাবনূর। এরপর ২০১২ সালের ২৮ ডিসেম্বর তারা বিয়ে করেন। সেই সংসারে ২০১৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর আইজান নিহান নামে এক পুত্রসন্তানের জন্ম হয়।
জেএম/রাতদিন