ভারতের উত্তর প্রদেশের কানপুরে ঘটে গেল এক বর্বোরোচিত ঘটনা। সেখানের একটি বনাঞ্চল থেকে ছয় বছরের এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শিশুটিকে দলবদ্ধ ভাবে ধর্ষণের পর হত্যা করা করেছে দুর্বৃত্তরা। এরপর শিশুটির ফুসফুস ছিঁড়ে বের করে নিয়েছে তারা।
রোববার, ১৫ নভেম্বর লাশ উদ্ধারের পর পুলিশ জানায়, ‘দিওয়ালির রাতে ঘাতমপুর এলাকা থেকে নিখোঁজ হয় শিশুটি। ওই এলাকার প্রচলিত কুসংস্কারের কারণে শিশুটির সাথে ওই অন্যায় করেছে দুর্বৃত্তরা। স্থানীয়রা বিশ্বাস করে যে শিশুর ফুসফুস কোনো নিঃসন্তান নারীর সন্তান জন্ম দিতে সহায়তা করে’। খবরটি প্রকাশ করেছে ভারতীয় গনমাধ্যম জিনিউজ।
উত্তরপ্রদেশ পুলিশের এএসপি ব্রজেশ শ্রীবাস্তব জানান, এ ঘটনায় অঙ্কুল কুরিল (২০) ও বীরন (৩১) নামে দুই যুবককে রোববার গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা জানিয়েছে, ফুসফুসটি তারা মূল ষড়যন্ত্রকারী পরশুরাম কুরিলের হাতে কালো যাদুর জন্য তুলে দিয়েছে।
এরপর সোমবার পরশুরামকেও গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। একইসঙ্গে তার স্ত্রীকেও আটক করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, পরশুরাম প্রথমে পুলিশকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু টানা জিজ্ঞাসাবাদে অবশেষে নিজের দোষ স্বীকার করেছেন ।
ব্রজেশ শ্রীবাস্তব বলেন, পরশুরাম পুলিশকে জানিয়েছে, ২১ বছর আগে তার বিয়ে হয়েছিল। এখনও তাদের কোনও সন্তান হয়নি। তাই তিনি অঙ্কুল কুরিল ও বীরনকে দিয়ে শিশুটিকে অপহরণ করিয়ে ফুসফুস বের করে নেন।
আরআই/রাতদিন