শেষ দিনে মুমিনুলের সেঞ্চুরি

বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়কের সেঞ্চুরি দিয়ে শেষ হল বিসিবির দুই স্কোয়াডের প্রস্তুতি ম্যাচ। ওটিস গিবসন একাদশের ২৩০ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে, নিজেদের ইনিংসে পাঁচ উইকেটে ২৪৮ রান করেছে রায়ান কুক একাদশ। ১১৭ রান করে স্বেচ্ছা অবসর নেন মুমিনুল হক।

সকালে ব্যাট করতে নেমে দ্রুত শাদমান ইসলাম ও ইয়াসির আলির উইকেট হারায় রায়ান কুক একাদশ। দুটি উইকেটই তুলে নেন এবাদত হোসেন। শাদমানের ব্যাট থেকে আসে ১৩ আর ইয়াসির করেন দুই রান। অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিমকে তিন রানে আউট করেন নুরুল হাসান সোহান। এরপরই শুরু মুমিনুলের ইনিংস।

মোহাম্মদ মিঠুনকে নিয়ে ১৫৭ রানের জুটি গড়েন চতুর্থ উইকেটে। মিঠুন ৬২ রান করে আউট হলেও, মুমিনুল তুলে নেন নিজের সেঞ্চুরি। ১১৭ রানে অবসর নেন তিনি।

২২০ বলের ইনিংসে খেলেছেন ধীরে সুস্থেই। ম্যাচশেষে মুমিনুল জানালেন তার মাথায় টেস্ট মেজাজের ব্যাটিংটাই ছিল।

‘চেষ্টা করছিলাম টেস্ট ম্যাচে যেরকম এনভায়রনমেন্ট থাকে, যেরকম সিচুয়েশন থাকে ওইভাবে শুরু করার চেষ্টা করেছিলাম। চিন্তা ছিল ব্যাটসম্যান হিসেবে যারা ব্যাটিং করেছিল রানের জন্য না খেলে আমরা যেন সারাটা দিন ব্যাটিং করতে পারি।’

দীর্ঘদিন পর কোন ধরনের প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন ক্রিকেটাররা। সেটা স্বস্তিজনক হলেও, স্নায়ুর চাপও ছিল বেশ, তেমনটাই জানিয়েছেন বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক।

‘খেলা শুরু হওয়ার আগে কিছুটা টেনশনে ছিলাম। মানুষ হিসেবে টেনশন থাকাটাই স্বাভাবিক। শেষ ৭ মাস ধরে আমরা খেলিনি। শুধু অনুশীলন করেছি। প্রথমে একটু নার্ভাস ছিলাম। শেষ দুইদিন আমাদের অনেক ভালো প্র্যাক্টিস হয়েছে মনে হয়। বিশেষ করে পেসারদের। আমাদের যারা ব্যাটসম্যান আছে তাদেরও যারা রান করেছে তাদের জন্য। দুইদিনের খেলা আমি খুব ইনজয় করেছি। পেসাররা খুব ভালো বোলিং করেছে। যখন আমরা টেস্ট ম্যাচ শুরু করবো আমাদের নতুন করে শুরু করতে হবে।’

বিসিবির দুই দল ওটিস গিবসন একাদশ এবং রায়ান কুক একাদশের মধ্যে দ্বিতীয় দুই দিনের ম্যাচ শুরু হবে ৫ অক্টোবর। একটি তিনদিনের প্রস্তুতিমূলক ম্যাচও খেলবে টাইগাররা। যা শুরু হবে ১৩ অক্টোবর। সূত্র: বিসিবি

এনএ/রাতদিন