বিপিএল ফাইনাল। একজন ব্যাটসম্যান ৬১ বল খেললেন। রান করলেন অপরাজিত ১৪২। ১০ টি চার আর ১১টি ছক্কা হাঁকালেন তিনি। স্ট্রাইকরেট ২৩১ দশমিক ৪। বাকি সবাই মিলে করলেন ৫৯ বলে ৪৭। যিনি এই অতিমানবীয় ইংনিসটি খেললেন তিনি তামিম ইকবাল।
বিধ্বংসী এই ইংনিসই বিপিএল শিরোপার জন্য যথেষ্ট ছিল বলেই এ আসরের শিরোপা তার দল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের। যেমনটি হয়েছিল গত আসরে। ক্রিস গেইলের ১৪৬ রানের দুর্দান্ত ইনিংস শিরোপা এনে দিয়েছিল রংপুর রাইডর্সকে।
বিপিএলে তামিম ইকবালের এটিই প্রথম সেঞ্চুরি। বিপিএলের ফাইনালে বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানেরও প্রথম সেঞ্চুরি এটি।
ফাইনালে তামিম কতোটা বিধ্বংসী ছিলেন, আর একটা পরিসংখ্যানের দিকে তাকালেই তা পরিষ্কার হয়ে যাবে।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা কুমিল্লার ১০ ওভার শেষে রান ছিল ৭৩। ২০ ওভার শেষে সেই স্কোর দাড়ায় ১৯৯-এ। শেষ ১০ ওভারে দলের ১২৬ রানের ১০৩ রানই এসেছে তামিমের ব্যাট থেকে!
দু’শো রানের লক্ষ্যে ঢাকাও কম যায়নি। উপুল থারাঙ্গা ও রনি তালুকদার দুর্দান্ত খেলে জমিয়ে তোলেন ম্যাচ। জিইয়ে রাখেন ঢাকার সম্ভাবনা। দ্বিতীয় উইকেটে দুজনের জুটিতে শত রান আসে ৫০ বলেই।
২৭ বলে ৪৮ করে আউট হন থারাঙ্গা। ৩৮ বলে রনি তালুকদারের ৬৬ রানের ইনিংসটি শেষ হয় এনামুল হকের সরাসরি থ্রোয়ে রান আউটে। সেই যে পিছু হটা শুরু হলো ঢাকার। আর ফিরতে পারলো না। তাদের ইনিংস থেমে গেলো জয় থেকে ১৭ রান দুরে।
ব্যাটিংয়ের পর ফিল্ডিংয়েও তামিম ছিলেন দুর্দান্ত। অনেকটা দৌড়ে নিয়েছেন সাকিবের ক্যাচ, আরও বেশি দূর ছুটে নিয়েছেন পোলার্ডেরটিও।
সব মিলিয়ে তামিম আলোয় উদ্ভাসিতই হয়ে রইলো ষষ্ঠ বিপিএল ফাইনাল।
স্কোর:
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স: ২০ ওভারে ১৯৯/৩ (তামিম ১৪১*, লুইস ৬, এনামুল ২৪, শামসুর ০, ইমরুল ১৭*; রাসেল ৪-০-৩৭-০, রুবেল ৪-০-৪৮-১, সাকিব ৪-০-৪৫-১, নারাইন ৪-০-১৮-০, অনিক ২-০-১৯-০, শুভাগত ১-০-১৪-০, মাহমুদুল ১-০-১২-০)।
ঢাকা ডায়নামাইটস: ২০ ওভারে ১৮২/৯ (থারাঙ্গা ৪৮, নারাইন ০, রনি ৬৬, সাকিব ৩, পোলার্ড ১৩, রাসেল ৪, সোহান ১৮, শুভাগত ০, মাহমুদুল ১৫, রুবেল ৫*, অনিক ১*; সাইফ ৪-০-৩৮-২, মেহেদি ৩-০-৩০-০, ওয়াহাব ৪-০-২৮-৩, সঞ্জিত ১-০-১০-০, আফ্রিদি ৪-০-৩৭-০, থিসারা ৪-০-৩৫-২)।
ফল: কুমিল্লা ১৭ রানে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: তামিম ইকবাল
আরআই/০৯.০২.২০১৯