দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম মহান স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের রাজাকার বলেছেন।
উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত অলোচনা সভা, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেছেন বলে জানা গেছে।
তাঁর এ মন্তব্যকে ঘিরে মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। তারা এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
স্থানীয় সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপালের উপস্থিতিতে উপজেলা চেয়ারম্যান এ মন্তব্য করায় তিনিও এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। পাশাপশি আমিনুল ইসলামকে তার বক্তব্য প্রতাহারের আহ্বান জানান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য দিতে গিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘উপজেলা নির্বাচনে আমি নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হওয়ার পরও মুক্তিযোদ্ধারা আমার বিপক্ষে কাজ করেছে। মুক্তিযোদ্ধারা রাজাকার।’
তার মন্তব্যের সাথে সাথেই মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত প্রধান অতিথি সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল মুক্তিযোদ্ধাদের শান্ত করেন।
পরে তিনি তার বক্তব্যে উপজেলা চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধাদের রাজাকার বলায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যানের বক্তব্যে মুক্তিযোদ্ধারা কষ্ট পেয়েছে, আঘাত পেয়েছে, তাদের আদর্শ ও সম্মানকে আঘাত করা হয়েছে। তাই উপজেলা চেয়ারম্যানের উচিত এ ধরনের বক্তব্য প্রত্যাহার করা।
তবে অনুষ্ঠানের শেষ পর্যন্ত বক্তব্য প্রত্যাহার কিংবা দুঃখ প্রকাশ করেননি ওই উপজেলা চেয়ারম্যান।
বীরগঞ্জ উপজেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার কালিপদ রায় বলেন, ‘উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত অনুষ্ঠানে আমাদেরকে রাজাকার বলায় আমরা মর্মাহত হয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমিনুল ইসলাম আমাদেরকে রাজাকার বলে, অথচ তিনি নিজেই এক সময় আওয়ামী লীগ ছেড়ে বিএনপি, জাতীয় পাটি ও এলডিপি হয়ে ক্ষমা চেয়ে আওয়ামী লীগে এসেছেন। তিনি নৌকার এমপির বিরুদ্ধে নির্বাচনের আগে বিএনপি জামায়াতদের সঙ্গে নিয়ে ঝাড়ু মিছিল করেছিলেন।’
উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘যে সব মুক্তিযোদ্ধা উপজেলা নির্বাচনে নৌকার বিপক্ষে কাজ করেছে, সাম্প্রদায়িক ইজম তুলেছিল সেইসব কতিপয় মুক্তিযোদ্ধাকে রাজাকার বলেছি।’
এবি/রাতদিন