সাংবাদিকরা পাননি কার্ড-স্টিকার, চশমা বিক্রেতা ঘুরলেন ‘সাংবাদিক’ হয়ে!

দৈনিক যুগান্তর, সমকাল, ইত্তেফাক, আমাদের সময়, একাত্তর টিভি, নয়াদিগন্ত, ভোরের ডাক, গ্রামের কাগজ, পূর্বাঞ্চলসহ ১০-১২টি প্রথম সারির গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকদের মধ্যে মাত্র দুটি পর্যবেক্ষক কার্ড বরাদ্দ হয়।

তবে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের কাজে মোটরসাইকেলে ‘সাংবাদিক’ স্টিকার লাগিয়ে একজন চশমা দোকানদারকে ভোট কেন্দ্রে ঘুরতে দেখা গেছে। এ ঘটনা বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার।



এর প্রতিবাদে সেখানে কর্মরত সাংবাদিকরা নির্বাচন পর্যবেক্ষক পরিচয়পত্র না পেয়ে রোববার, ৩১ মার্চ কর্মবিরতি পালন করেছেন। এ দিনে সেখানে চতুর্থ দফায় উপজেলা পরিষদের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা সংবাদমাধ্যমকে জানান, ‘সাংবাদিক’ স্টিকারধারী বাসুদেব মন্ডলের বাড়ি চিতলমারী উপজেলার বড়বাড়িয়া পশ্চিমপাড়া গ্রামে। তিনি গোপালগঞ্জের একজন চশমা দোকানদার।
কিভাবে ‘সাংবাদিক’ স্টিকার পেয়েছেন? এই প্রশ্নের উত্তরে বাসুদেব মন্ডল বলেন, ‘বড়বাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাসুদ সরদারের ড্রাইভার হিসেবে ইউএনওর নিকট থেকে ‘সাংবাদিক’ স্টিকার পেয়েছি।’
স্থানীয় সাংবাদিক সাফায়েত হোসেন সাফা জানান, নির্বাচন চলাকালে দেখা যায় ওই চশমা বিক্রেতা ছাড়াও একজন এনজিও কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতারা সাংবাদিক পর্যবেক্ষকের পরিচয়পত্র নিয়ে এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
চিতলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবুসাঈদ জানান, পাঁচজন সাংবাদিক ও তাদের পাঁচটি গাড়ির পরিচয়পত্র বরাদ্দ ছিল। তা দিয়ে দেওয়া হয়েছে।

এইচএ/রাতদিন