আজ শনিবার, ০৪ মে সকাল ৬টার দিকে সাতক্ষীরা, বাগেরহাট ও যশোর দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকেছে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় ফণী। এটি দেশের উত্তরের জনপদ রংপুর হয়ে ফের ভারতে চলে যাবে বলে জানা গেছে।
আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্য মতে, বাংলাদেশে অবস্থানের সময় এটির গতিবেগ থাকবে ৬২ থেকে ৮৮ কিলোমিটার। পাশাপাশি এটি বাংলাদেশে ৬ ঘণ্টা অবস্থান করতে পারে।
ধেয়ে আসা এ ঘূর্ণিঝড় দিক পরিবর্তন করেছে। ঘূর্ণিঝড়টি দেশের মধ্যাঞ্চল দিয়ে আঘাত হানার আশঙ্কা প্রকাশ করছে আবহাওয়া অধিদফতর।
শনিবার সকালে আগারগাঁওয়ে আবহাওয়া অধিদফতর থেকে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় ফণী তার দিক পরিবর্তন করেছে। এটি খুলনা, যশোর, সাতক্ষীরা, কুষ্টিয়া, নড়াইল, মেহেরপুর, দিনাজপুর, রাজশাহী ও রংপুর হয়ে ভারত চলে যেতে পারে।
এর আগে শুক্রবার মধ্যরাত থেকে ফণীর প্রভাবে রাজধানীসহ সারাদেশে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি শুরু হয়েছে। ফণীর আঘাতে বাংলাদেশের বিভিন্নস্থানে এখন পর্যন্ত বেশ কয়েক জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে।
আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক শামছুদ্দীন আহমেদ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় ফণী বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চলে আঘাত হানতে পারে।
এদিকে পশ্চিমবঙ্গ পেরিয়ে আসার পথে আরও দুর্বল হয়ে এই ঘূর্ণিঝড় শনিবার বেলা ১১-১২ টার মধ্যে বাংলাদেশ মধ্যাঞ্চলে পৌঁছাতে পারে বলে আবহাওয়াবিদদের ধারণা।
ঘূর্ণিঝড় ফনির প্রভাবে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টিপাত হচ্ছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
দেশের দুই সমুদ্রবন্দর মোংলা ও পায়রা বন্দরকে সাত নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
অন্যদিকে ঘূর্ণিঝড় ফণীর কারণে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত দেশের উপকূলীয় জেলাগুলোর ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলের ১২ লাখ ৪০ হাজার ৭৯৫ জন মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নেয়া হয়েছে।
রাতদিন/এমআরডি- ০৪ মে, ২০১৯।