রংপুরের কাউনিয়ায় আব্দুল হালিম (৫৮) নামে এক ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) রাতে হারাগাছের শেষ সীমান্তে লালমনিরহাটের খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের চর টাংরির বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
বুধবার (৬ জানুয়ারি) সকালে হারাগাছ পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মামুনুর রশিদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহত আব্দুল হালিম হারাগাছ পৌরসভা এলাকার পাইকার বাজারের ছমস উদ্দিনের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে তামাক, জর্দা, গুল ও বিড়ির ব্যবসা করে আসছিলেন। এর আগে তিনি ভরসা গ্রুপে চাকরি করেছেন বলে জানা গেছে।
এদিকে, স্থানীয় একজন ব্যক্তির তামাক ব্যবসার পাওনা টাকার বিরোধ মেটাতে ডাকা সালিশে গিয়ে আব্দুল হালিম হত্যার শিকার হয়েছেন বলে দাবি করেছেন তার বড় ছেলে মোহন মিয়া।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার রাতে লালমনিরহাটের খুনিয়াগাছে সাবেক ইউপি সদস্যের বাড়িতে সালিশ বৈঠক বসেছিল। বিরোধ মেটাতে সেখানে তার বাবাও ছিলেন। বৈঠকে তার বাবার তোলা একটি প্রস্তাবকে কেন্দ্র করে হট্টগোল শুরু হলে বিক্ষুব্ধরা তাকে পিটিয়ে হত্যা করে।
মোহন মিয়া আরও বলে ন, আমি অন্যের কাছে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায়। সেখানে গ্রামবাসীকে অনেক অনুরোধ করেছি। কিন্তু হট্টগোল শুরু হলে ফজু ও ফজলু নামে দুইজনসহ অনেকে আমার বাবাকে টার্গেট করে মারধর করতে থাকে। এতে গুরুতর অসুস্থ হয়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
এদিকে এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, পাওনা টাকা নিয়ে মঙ্গলবার রাতে খুনিয়াগাছে সাবেক ইউপি মেম্বারের বাসায় শালিস বৈঠক বসে। সেখানে সালিশ বৈঠকের সিদ্ধান্ত পছন্দ না হওয়ায় এক পর্যায়ে মারামারি শুরু হয়। এতে ধস্তাধস্তির সময়ে মারাত্মকভাবে আহত হন ব্যবসায়ী আবুল হালিম। তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে হারাগায় পৌর এলাকার পকিহাটা ব্রিজের সামনে মারা যায়।
রাতে লালমনিরহাট ও হারাগাছ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি জানিয়ে হারাগাছ মেট্রোপলিটন থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল ইসলাম বলেন, আমরা পুরো ঘটনাটি খতিয়ে দেখছি। এখনও ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে আসেনি। বিষয়টি নিয়ে লালমনিরহাট থানা পুলিশও কাজ করছে। তামাক ব্যবসার পাওনা টাকার বিরোধ থেকে এ ঘটনাটি ঘটেছে বলে মনে হচ্ছে।
আরআই/রাতদিন