নওগাঁর ধামইরহাটে তৃতীয় শ্রেণির এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। পুলিশ অভিযুক্ত ধর্ষণকারীকে আটক করে কোর্ট হাজতে পাঠিয়েছে। এর আগে থানায় মামলা দায়ের করেন শিশুটির বাবা।
শিশুটি উপজেলার উমার ইউনিয়নের অন্তর্গত উত্তর দূর্গাপুর গ্রামের একটি কেজি স্কুলে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়াশুনা করছে।
ধামইরহাট থানায় এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ঈদের দিন বুধবার দুপুর ২টার দিকে উত্তর দূর্গাপুর গ্রামে জনৈক ব্যক্তির আট বছরের শিশু ধর্ষণের শিকার হয়।
কালের কন্ঠ অনলাইনকে শিশুটির বাবা বলেন, ঈদের দিন দুপুরে প্রতিবেশী মৃত আয়েজ উদ্দিনের ছেলে আব্দুল ছালাম (৫০) আমার মেয়েকে রুটি ও সেমাই খাওয়ার প্রলোভন দিয়ে নিজ বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য আমার মেয়েকে ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে বাড়ির পাশে হড্ডার পুকুর পাড়ে ফেলে রাখে তাকে। পরে পরিবারের লোকজন ওই পুকুরপাড় থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে জয়পুরহাট আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে শিশুটির রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়ায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে শিশুটি সেখানে চিকিৎসাধীন।
এ ব্যাপারে ধামইরহাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি-তদন্ত) মো.মাহবুব আলম বলেন, শিশুটির পিতা বাদী হয়ে থানায় একটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ঘটনার মূল আসামি আব্দুস ছালামকে আটক করে কোর্ট হাজতে পাঠানো হয়েছে। পুলিশের পক্ষে শিশুটির ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্নের জন্য আবেদন করা হয়েছে।
এবি/রাতদিন