নীলফামারীর সৈয়দপুরে তৈরি গৃহস্থালী তৈজসপত্র এবার ভারতের বাজার জয় করতে চলেছে। এর আগে এই তৈজসপত্র ভুটানের বাজারে ব্যাপক সাড়া জাগায়। এরই ধারাবহিকতায় এখানকার শিল্প পরিবার নোয়াহ্ গ্রুপের রয়েল্যাক্স মেটাল ইন্ডাস্ট্রির তৈরি প্রেসার কুকার, ননস্টিক ফ্রাইপ্যান, স্টিল ও অ্যালুমিনিয়ামের তৈজসপত্র এখন রফতানি হচ্ছে ভারতে।
এরই মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়িতে খোলা হয়েছে এসব পণ্যের শো-রুম ও বিক্রয়কেন্দ্র।
সংশ্লিষ্ট সুত্র জানিয়েছে, দীর্ঘদিন থেকে ভুটানের বাজারে নিয়মিত রফতানি হচ্ছে নোয়াহ্ গ্রুপের পণ্য। চলতি বছরের শুরু থেকে ভারতের বাজারে রপ্তানি শুরু হয় রয়েল্যাক্সের উৎপাদিত পণ্য।
ভারতের বাজারে ব্যাপক সাড়া পাওয়ায় পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ির সেবক রোডে ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটে স্থাপন করা হয়েছে নোয়াহ্ পণ্যের বিক্রয় ও প্রদর্শনী কেন্দ্র। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে এটি উদ্বোধন করা হয়।
নোয়াহ্ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাজকুমার পোদ্দার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘গত ১০ বছর ধরে কোলকাতা ও দিল্লীতে আয়োজিত বাণিজ্য মেলায় নোয়াহ্ গ্রুপ অংশ নেয়। সেখানে ভারতীয় ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় ছিলো আমাদের স্টলে। ভারতীয় গৃহিণীরা আমাদের স্বাগত জানিয়েছেন। ফলে তাদের বাজারে প্রবেশ করা সহজতর হয়েছে।’
রয়েল্যাক্স মেটাল ইন্ডাস্ট্রির সহকারী মহাব্যবস্থাপক মাহমুদ চৌধুরী এর উৎপাদন সম্পর্কে বলেন, আমাদের প্রতিদিন উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ৬০০ প্রেসার কুকার, ৫০০ ননস্টিক ফ্রাইপ্যান, এক হাজার তৈজসপত্র। এছাড়াও বিপুল পরিমাণ অ্যালুমিনিয়াম সামগ্রী তৈরি হচ্ছে।
তবে তিনি কিছু অসাধূ ব্যবসায়ীর কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এরা চীনে তৈরী নিম্নমানের সামগ্রী দামী ব্রান্ডের সিল মেরে বাজারে বিক্রি করছেন। দেশে নিম্নমানের এসব সামগ্রীর বিপনন বন্ধ করা গেলে তা দেশীয় উৎপাদকদের জন্য সহায়ক হতো।
জেএম/রাতদিন