নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. এনামুল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ইউনিয়ন শাখা আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিলের ভোটগ্রহন অনুষ্ঠানে সভাপতি পদে এক প্রার্থীকে মারপিট ও হত্যার চেষ্টার অভিযোগে ওই মামলা দায়ের করা হয়।
কাউন্সিলে সভাপতি প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোখলেছুর রহমান বাদি হয়ে গত ২ সেপ্টেম্বর নীলফামারীর সৈয়দপুর থানায় ওই মামলা দায়ের করেন।
মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান মো. এনামুল হক চৌধুরী ছাড়াও তাঁর দুই ছেলে, ভাতিজাসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করে আরো ২৫/৩০ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামী করা হয়েছে।
মামলার আরজি সূত্রে জানা গেছে, গত ২৮ আগস্ট উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলার হাজারীহাট স্কুল ও কলেজ প্রাঙ্গনে আয়োজিত ওই কাউন্সিলে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে ভোট গ্রহন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়।
কাউন্সিলের ভোট গ্রহন শেষে রাত আনুষ্ঠানিক সাড়ে ৮ টার দিকে গণনাকালে সভাপতি পদ প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোখলেছুর রহমান ১৪৮ ভোট পেয়েছে এমন খবর ছড়িয়ে পড়ে। এ খবর জানা মাত্র কাউন্সিলের প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী ইউপি চেয়ারম্যান মো. এনামুল হক চৌধুরী নির্দেশে তাঁর নির্বাচনী এজেন্টের চিৎকারে বাইরে থাকা মো. তোফা মামুদ, বুলবুল চৌধুরী, মো. ডিউ, মো. অলিয়ার রহমান মো. সায়েম, মো. নবী হোসেন, মো. শাহীন, নাজির মাষ্টার ও রাশেদ চৌধুরীসহ অজ্ঞাতনামা ২৫/৩০ জন ব্যক্তি লাঠি সোটা, লোহার রড, ছুরিসহ দেশীয় অস্ত্রেসন্ত্রে সজ্জিত হয়ে ভোট গণনা কক্ষে দরজা ভেঙ্গে ভেতরে ঢুকে পড়ে।
পরবর্তীতে সৌরভ আলী সভাপতি পদপ্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোখলেছুর রহমানের গলা চেপে ধরে শ্বাষরুদ্ধ করে হত্যার চেষ্টা চালায়। এরপর মামলার অন্যান্য আসামী মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যার উদ্দেশ্যে তাঁর মেরুদন্ডে মধ্যবর্তী স্থানে সজোরে আঘাত করাসহ কিলঘুষি মেরে কক্ষের বাইরে নিয়ে আসে। এসময় আক্রমনকারীরা তার সাথে থাকা নগদ অর্থও ছিনিয়ে নেয়।
এ ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোখলেছুর রহমান নিজে বাদী হয়ে গত ২ সেপ্টেম্বর রাতে নীলফামারীর সৈয়দপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
সৈয়দপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহ্জাহান পাশা মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, থানার উপপরিদর্শক (এসআই) দিলীপ কুমার রায় মামলাটির তদন্ত করছেন।
এনএইচ/রাতদিন