সৈয়দপুরে ইটভাটার ধোঁয়ায় ক্ষতিগ্রস্থ চাষিরা পেল ক্ষতিপূরণ

নীলফামারীর সৈয়দপুরের সেই ইটভাটার মালিক অবশেষে ক্ষতিগ্রস্থ চাষিদের ক্ষতিপূরণ দিয়েছেন। ক্ষতির শিকার ১৭৮ চাষির মাঝে ক্ষতিপূরণের জন্য ১০ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি কামারপুকুর ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে ক্ষতিপূরণের টাকা তুলে দেন চেয়ারম্যান মো. রেজাউল করিম লোকমান। ইটভাটার ধোঁয়া ও গ্যাসের কারণে ওইসব কৃষকের উঠতি বোরো ধান ক্ষেত সম্প্রতি পুড়ে গিয়েছিল।

টাকা বিতরণের সময় সেখানে ছিলেন উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ বাসুদেব দাস ও কৃষিবিদ মো. আসাদুজ্জামান আশা, কৃষক প্রতিনিধি মো. শফিকুল আলম, মো. আলমগীর হোসেন, মো. আফছার আলী ও মো.আজিজুল ইসলাম।

জানা গেছে, কামারপুকুর ইউনিয়নের কিসামত কামারপুকুর এলাকায় অবস্থিত মেসার্স এম জেড এইচ ব্রিকস্ নামের দুইটি ইটভাটা থেকে নির্গত বিষাক্ত ধোঁয়া ও গ্যাসের প্রভাবে আশপাশের জমির উঠতি বোরো ধান ক্ষেত সম্পূর্ণভাবে পুড়ে যায়। ফলে ঋণ করে চাষাবাদ করা উঠতি বোরো ধান ক্ষেত দেখে কৃষকদের মাথায় যেন আকাশ ভেঙ্গে পড়ে।

বিষয়টি নিয়ে প্রথমে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা ইটভাটা মালিকের সাথে কথা বললেও ইটভাটা মালিক ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের কোন পাত্তাই দিচ্ছিলেন না। পরে গত ১ মে সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এস. এম. গোলাম কিবরিয়া, উপজেলা কৃষি অফিসার মোছা. হোমায়রা মন্ডল, ওসি মো. শাহ্জাহান পাশাসহ সংশ্লিষ্টরা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। এরপর গঠন করা হয় চার সদস্যের তদন্ত কমিটি।

তদন্ত কমিটি ঘটনাটি তদন্ত করে একটি তদন্ত প্রতিবেদন ইউএনও বরাবরে জমা দেন। এর আগে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এস. এম. গোলাম কিবরিয়া বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেন। পরে ইউএনও ইটভাটা মালিক মো. হারুন অর রশিদের সাথে আলোচনা করেন। অনেক দেন দরবারের পর ইটভাটা মালিক ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দিতে রাজি হন। পরবর্তীতে ইটভাটা মালিক ক্ষতিপূরণ বাবদ ১০ লাখ টাকা প্রদান করেন।

এবি/রাতদিন