নীলফামারীর সৈয়দপুরে তিন সন্তানের জননী গৃহবধূ আকলিমার (২৫) মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। গতকাল শনিবার তাঁর বাবার বাড়ির অদূরে একটি মাঠে মধ্যে ১১ হাজার কেভির বৈদ্যূতিক খুঁটির নিচে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
আজ রোববার, ২৩ আগষ্ট মৃত আকলিমার মা মমতাজ বেগম (৬০) বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে সৈয়দপুর থানায় এই মামলাটি দায়ের করেন।
গৃহবধূ হত্যার এ ঘটনায় সন্দিগ্ধ আসামী হিসেবে তাঁর স্বামী শরিফুল ইসলামকে (৩০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাকে গত শনিবার (২২ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টায় দিনাজপুরের পাবর্তীপুর উপজেলা হাবড়া রসুলপুর এলাকার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ তাকে নীলফামারী আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে।
এছাড়াও গৃহবধূর আকলিমার তিন ভাই যথাক্রমে হাবিব, মাসুদ এবং রুবেলকেও ঘটনার বিষয়ে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গতকাল রবিবার দুপুরে পরিবার সদস্যদের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
সৈয়দপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আতাউর রহমান গৃহবধূ আকলিমার লাশ উদ্ধারের ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, হত্যা মামলাটি তদন্তের জন্য সৈয়দপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. সাহিদুর রহমানকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, দিনাজপুরের পাবর্তীপুর উপজেলার হাবড়া রসুলপুর এলাকার আনিছ্রু রহমানের ছেলে শরিফুল। গত ২০১৪ সালের আকলিমা ও শরিফুলের বিয়ে হয়। ওই দম্পতির এক ছেলে এবং দুই মেয়ে সন্তান রয়েছে।
নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের কিসামত কামারপুকুর সরকারপাড়ার মৃত. আবেদ আলীর মেয়ে আকলিমা। গত শনিবার (২২ আগস্ট) তাঁর বাবার বাড়ির অদূরে কামারপুকুর ইউনিয়নের স্বাদু পানি মৎস্য গবেষণা উপকেন্দ্রের পিছনের বালাডাঙ্গার একটি মাঠের মধ্যে ১১ হাজার কেভির বৈদ্যূতিক খুঁটির নিচে তার মরদেহটি পড়েছিল