নীলফামারীর সৈয়দপুরে গবাদিপশুর খামারে দম্পতি হত্যাকান্ডের ঘটনায় এলাকাবাসীর মাঝে এখনো পুলিশী আতঙ্ক কাটেনি। ঘটনার তিন দিন পরেও চরম ভয়ে দিন কাটাচ্ছে এলাকার সাধারণ মানুষ এলাকাটি রাতের বেলা অনেকটাই হয়ে পড়ছে পুরুষ শূন্য।
মঙ্গলবার, ২৯ জানুয়ারি সরেজমিনে ঘুরে এ তথ্য জানা গেছে।
এদিকে মানুষের মাঝে সৃষ্ট আতঙ্ক কাটাতে এলাকায় সচেতনতামূলক সভা করেছে পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন।
স্থানীয় মানুষের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ওই হত্যাকান্ডের পর এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বিশেষ করে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ রয়েছেন চরম ভয়ের মধ্যে।
ঘটনার পরদিন থেকে পুলিশী হয়রানির ভয়ে রাতে বেলা বাড়িতে থাকছেন না ছাড়েন এলাকার পুরুষ মানুষ। ফলে রাতে এলাকাটি হয়ে পড়ছে পুরুষ শূন্য। এই সুযোগে সেখানে বেড়ে গেছে চোরের উৎপাত।
এদিকে যেখানে হত্যাকান্ড ঘটেছে তার আশপাশের দুটি বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিও কমে গেছে বলে জানা গেছে।
এরপর থেকেই পুরুষশূন্য বাড়িগুলোতে চুরির আতঙ্ক দেখা দেয়। এ অবস্থায় এলাকার মানুষ আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে পড়েন।
ঘটনাটি জানতে পেরে সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এলাকাবাসীর আতঙ্ক কাটতে তাদের নিয়ে এক সচেনতামূলক সভার আয়োজন করে।
এদিকে মানুষের আতংক কাটাতে গত সোমবার, ২৮ জানুয়ারি বিকেলে উপজেলার ৫ নম্বর খাতামধুপুর ইউনিয়নের মধুপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন খাতামধুপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ¦ মো. মজিবর রহমান।
সভায় বক্তব্য রাখেন সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মোখছেদুল মোমিন, সৈয়দপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অশোক কুমার পাল, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. আজমল হোসেন, সৈয়দপুর থানার ওসি মো. শাহ্জাহান পাশা প্রমুখ।
বক্তারা দম্পতি হত্যাকান্ডের ঘটনায় এলাকাবাসীকে অহেতুক আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দেন। নিরীহ, নির্দোষ মানুষকে হয়রানি করা হবে না বলেও সেখানে ঘোষণা দেয়া হয়। পুলিশের ভয়ে বাড়িঘর না ছাড়তেও আহবান জানানো হয়।
প্রসঙ্গত গত ২৬ জানুয়ারি রাতের খাতামধুপুর ইউনিয়নের মধুপুর বালাপাড়ায় একটি খামারে নৃশংসভাবে খুন হয় নজরুল ইসলাম ও সালমা খাতুন দম্পতি। এ ঘটনায় খামারের নৈশপ্রহরী আহত হন।
এইচএ/২৯.০১.১৯