নীলফামারীর সৈয়দপুরে দিনের বেলা চুরি যাওয়া একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করেছে পুলিশ। মোটরসাইকেলসহ এক চোরকেও এসময় গ্রেপ্তার করা হয়।
আজ মঙ্গলবার, ১৯ অক্টোবর সকালে চোরকে আদালতের মাধ্যমে নীলফামারী কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে গতকাল সোমবার, ১৮ অক্টোবর বিকেল আনুমানিক ৪টার দিকে ওই মোটরসাইকেলটি চুরি হয়।
মোটরসাইকেলটির মালিক কিশোরগঞ্জ উপজেলার নয়ানখাল ডাঙ্গারহাট স্কুল এন্ড কলেজের সহকারি শিক্ষক মশিউর রহমান। তার বাড়ি উপজেলার খাতামধুপুর ইউনিয়নে।
গ্রেপ্তারকৃত মোটরসাইকেল চোরের নাম মো. নুরুল হক ওরফে চামড়া (২০)। সে উপজেলার খাতামধুপুর ইউনিয়নের কাছারীপাড়ার আব্দুল করিম ওরফে ঢেপার ছেলে। এ বিষয়ে সৈয়দপুর থানায় একটি মামলা হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার দিন গত সোমবার বিকেল আনুমানিক ৪টার দিকে ওই শিক্ষক কলেজ থেকে ফিরে তাঁর ব্যবহৃত ১০০ সিসির সিটি বাজাজ কোম্পানি লাল রঙের মোটরসাইকেলটি তার খাতমধুপুর ইউনিয়নের বাড়ির খুলিবাড়িতে (উঠান) হ্যান্ডেল লক করে রাখেন।
এরপর তিনি বাড়ির পাশে মসজিদে আছরের নামাজ আদায় করতে যান।নামাজ শেষে বাড়ি ফিরে দেখেন বাড়ির খুলিবাড়িতে তাঁর ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি নেই। মোটরসাইকেলটি খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে জানতে পারেন সৈয়দপুর থানায় একটি চোরাই মোটরসাইকেল আটক করা হয়েছে। পরে তিনি থানায় গিয়ে তাঁর ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি সনাক্ত করেন।
বিশ্বস্ত একটি সূত্র জানায়, চোর নুরুল হক ওরফে চামড়া (২০) মোটরসাইকেলটির লক খুলে চুরি করে নিয়ে এসে সৈয়দপুর শহরের একটি ভাঙ্গারির দোকানে বিক্রির চেষ্টা করেন। এ সময় তার কথাবার্তায় দোকান মালিকের মনে সন্দেহের উদ্রেক হয়। তিনি মোটরসাইকেল চোরকে তার দোকানে বসিয়ে রেখে থানা পুলিশকে খবর দেন।
পরে সৈয়দপুর পুলিশ ওই দোকানে গিয়ে নুরুল হক ওরফে চামড়াকে মোটরসাইকেল বিক্রির বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে মোটরসাইকেলটি চুরি করে নিয়ে আসার কথা স্বীকার করে।
সৈয়দপুর থানায় অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মো. খায়রুল আনাম চুরি যাওয়া মোটরসাইকেলসহ এক চোরকে গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে।
জেএম/রাতদিন