জিপসাম সারের প্যাকেটে নেই সারের কোনো রকম উপাদানের অস্তিত্ব। অথচ রীতিমত কারখানা খুলে প্যাকেটে ‘থাইল্যান্ড থেকে আমদানিকৃত’ লিখে বাজারজাত করা হচ্ছিল ‘জিপসাম সার’। নীলফামারীর সৈয়দপুরে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের এক অভিযানে কথিত একটি সার কারখানায় এ চিত্র উঠে এসেছে। ওই কারখানায় মূলত পোড়া মাটি প্যাকেটজাত করে জিপসাম সার নামে বিক্রি করা হচ্ছিল।
আজ রোববার, ২৫ অক্টোবর শহরের বিসিক শিল্প নগরীর সামনে নিয়ামতপুর এলাকায় ‘তিস্তা ক্রপ কেয়ার’ নামের কারখানায় অভিযান চালানো হয়।
জানা গেছে, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের রংপুর বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক(এডি) মো. বোরহান উদ্দিনের নেতৃত্বে অভিযানে তিস্তা ক্রপ কেয়ার নামের ভেজাল সার কারখানাটির সন্ধান পাওয়া যায়। সেখানে পোড়া মাটি দিয়ে জিমসাম সার তৈরি করে তিস্তা ক্রয় কেয়ার নামে প্যাকেটজাত করা হচ্ছিল। এই সারের প্যাকেটে জিপসামের কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।
এসময় ভেজাল উপকরণে জিপসাম সার তৈরি করে বাজারজাত করার দায়ে কারখানার মালিক আব্দুর রাজ্জাকের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এদিকে সৈয়দপুর শহরের উপকন্ঠে চৌমুহনী বাজারে অপরিস্কার, নোংরা ও অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে খাবার তৈরি, সংরক্ষণ, পরিবেশনের অভিযোগে তৃপ্তি ও মুন্না হোটেলের মালিক যথাক্রমে মো. ফরিদুল ও ফরহাদের পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।
এইচএ/রাতদিন