সৈয়দপুরে ভিজিএফ’র চাল আত্মসাতের ঘটনা ঘটেনি: ইউপি চেয়ারম্যান

নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার ২ নম্বর কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. এনামুল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে ভিজিএফ’র চাল আত্মসাতের অভিযোগ আদৌ সত্য নয় বলে দাবি করেছেন তিনি।

আজ রোববার, ৯ আগষ্ট বিকেল ৫ টায় শহরের একটি হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন আওয়ামী লীগ নেতা ও কাশিরাম বেলপুকুর ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হক চৌধুরী।

বক্তব্যে বলা হয়, ঈদুল আজহা উপলক্ষে ওই ইউনিয়নের ভিজিএফ কার্ড বরাদ্দ ছিল ৯ হাজার ৯৯৮ টি। গত ২৭ জুলাই থেকে ভিজিএফ এর চাল বিতরণ শুরু করে ২৯ জুলাই তা শেষ হয়। শেষ দিন ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে ৪শ’ থেকে ৫শ’ জন সুবিধাভোগী উপস্থিত ছিল। গোডাউনে চালও মজুদ ছিল। কিন্তু চালের ঘাটতি হতে পারে এমন আশংকায় উপস্থিত লোকজনকে ৩০ জুলাই চাল দেওয়া হবে বলে জানানো হয়।

ঘোষণা মতে ৩০ জুলাই সাত সরকারি কর্মকর্তার উপস্থিতিতে অবশিষ্ট লোকদের মাঝে ভিজিএফ’র চাল সুষ্ঠুভাবে বিতরণ সম্পন্ন করা হয়।

তিনি আরো বলেন আমার ইউনিয়নে সাতটি এতিমখানা রয়েছে। করোনাকালে এতিমখানায় থাকা এতিমরা অসহায় অবস্থায় আছে জেনে আমি সেগুলোতেও ভিজিএফ’র চাল দিয়েছি।

তিনি বলেন, সুবিধাভোগীর কাছ থেকে ভিজিএফ এর স্লিপ কেঁড়ে নিয়ে পোড়ানোর কোন ঘটনা ঘটেনি। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা কিছু সংবাদকর্মীকে মিথ্যে ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে বিভ্রান্তিকর সংবাদ পরিবেশন করেছে।

জননেত্রী শেখ হাসিনার একজন একনিষ্ঠ কর্মী দাবী করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের কোন বদনাম হোক, তেমন কাজ আমার দ্বারা সম্ভব নয়। আর আমি কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চার চারবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান। আমি চেয়ারম্যান হিসেবে থাকাকালে কখনও কোন সময় কোন রকম অনিয়মের প্রশ্রয় দেইনি। আগামী দিনেও দেবো না ইন্নাশাল্লাহ্।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি জোর দিয়ে বলেন ভিজিএফ এর চাল আত্মসাতের ব্যাপারে উপজেলা প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটিও তদন্ত করে কোন সত্যতা পায়নি।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আখতার হোসেন বাদলসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

জেএম/রাতদিন