নীলফামারীর সৈয়দপুর বিদ্যালয় স্বাস্থ্য কেন্দ্র। শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যসেবায় গড়ে উঠা প্রতিষ্ঠানটিতে চিকিৎসকের পদ দুইটি। কিন্তু পদ থাকলেও নেই একজন চিকিৎসকও। একজন মাত্র ফার্মাসিষ্ট দিয়ে চলছে এর চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম। ফলে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যসেবার প্রতিষ্ঠানটি এখন নাম সর্বস্ব প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।
বর্তমানে এটি ‘ঢাল নেই তলোয়ার নেই, নিধিরাম সর্দার’ এর অবস্থায় দাঁড়িয়েছে। তারওপর আবার চলমান করোনাকালে এটিতে করোনা ভাইরাস রোগীদের নমুনা সংগ্রহের বুথ স্থাপন করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার পরিবর্তে মিথ্যে অভিযোগে এটিকে অন্যত্র সরানোর পায়তারাও চলছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সৈয়দপুর বিদ্যালয় স্বাস্থ্য কেন্দ্র গড়ে তোলা হয় ষাটের দশকে। আগে সৈয়দপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবনে (লাল বিন্ডিং) এটির কার্যক্রম চালু ছিল। পরবর্তীতে শহরের নিয়ামতপুর সরকারপাড়া এলাকায় স্থানান্তরিত করা হয় এটি।
বিদ্যালয় স্বাস্থ্য কেন্দ্রটিতে চিকিৎসকের পদ রয়েছে দুইটি। কিন্তু দীর্ঘদিন যাবৎ এখানে একজন চিকিৎসক কর্মরত থেকে শিক্ষার্থীদের চিকিৎসাসেবা দিয়ে আসছিলেন। কিন্তু বর্তমানে একজন চিকিৎসকও নেই।
এখানকার চিকিৎসককে নীলফামারী মেডিক্যাল কলেজে ডেপুটেশনে রাখা হয়েছে। ফলে চিকিৎসক ছাড়াই চলছে স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি। বর্তমানে কর্মরত একজন ফার্মাসিষ্ট কেন্দ্রটিতে আসা শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন। আর এ কেন্দ্রটির এমএলএসএস পদটিও দীর্ঘদিন যাবৎ শূন্য। ফলে কেন্দ্রটির সব কার্যক্রম চালাচ্ছেন ওই ফার্মাসিষ্ট একাই।
এ অবস্থায় শিক্ষা নগরী সৈয়দপুরে অবস্থিত বিদ্যালয় স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শিক্ষার্থীরা এখানে তেমন একটা চিকিৎসা নিতে আসে না এমন অজুহাতে সৈয়দপুর থেকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার এ ষড়যন্ত্রে এখানকার সচেতন অভিভাবক মহলসহ সুধীজন হতবাক হয়েছেন।
শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সেবায় গড়ে উঠা প্রতিষ্ঠানটি অন্যত্র সরিয়ে না নেওয়ার এবং ডেপুটিশনে থাকা চিকিৎসককে তাঁর পদে ফিরিয়ে আনার দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে।
লাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি সৈয়দপুর উপজেলা শাখার ব্যানারে গত ২৮ জুন প্রেস ক্লাবের সামনে ওই মানববন্ধন করা হয়। এছাড়াও একটি আবাসিক এলাকায় থাকা বিদ্যালয় স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি করোনার নমুনা সংগ্রহের বুথ স্থাপন না করারও দাবি জানানো হয়েছে ওই মানববন্ধন থেকে।
সৈয়দপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু মো. আলেমুল বাসার জানান, বিদ্যালয় স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি সিভিল সার্জন দপ্তরের আওতাধীন। তিনি করোনা ভাইরাস পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহের বুথ স্থাপনের সত্যতা নিশ্চিত করেন।
এ নিয়ে কথা বলার জন্য নীলফামারী সিভিল সার্জন ডা. রনজিৎ কুমার বর্মণের সঙ্গে কথা বলার জন্য যোগাযোগের চেষ্টা করে সম্ভব হয়নি।
জেএম/রাতদিন