সৌম্যর ২৭ বলে হাফ সেঞ্চুরি। মোসাদ্দেকের ২০ বল হাফ সেঞ্চুরি। এরকম দুটো ঝড়ো ইনিংস থাকলে স্কোর যতই বড় হোক না কেন তা টপকানো যে কতটা সহজ- তাই দেখাল বাংলাদেশ আজ।
এই দুই ঝড়ো ইনিংসের ওপর ভর করে ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথম কোনো টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হলো বাংলাদেশ।
বৃষ্টির কারণে লম্বা সময় ধরে ম্যাচ বন্ধ থাকার পর কার্টেল ওভারে ম্যাচটি নির্ধারণ করা হয় ২৪ ওভারের। সেই নির্ধারিত ২৪ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজ করেছে ১৫২ রান।
ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে ২৪ ওভারে বাংলাদেশের লক্ষ্য দাড়ায় ২১০ রানের। বিশাল লক্ষ্য পাড়ি দিতে নেমে মোসাদ্দেকে ঝড়ের সামনে ৭বল হাতে রেখেই চ্যাম্পিয়ন হয়ে গেলো বাংলাদেশ।
ওপেন করতে নেমে সৌম্য সরকারের ব্যাটে জয়ের স্বপ্নটা চওড়া হচ্ছিল খুব। ২৭ বলে হাফ সেঞ্চুরি হাফ সেঞ্চুরি করেন সৌম্য। কিন্তু ৪১ বলে ৬৬ রান করার পর সৌম্য বিদায় নিতেই জয়ের কাজটা ধীরে ধীরে কঠিন হতে থাকে।
মুশফিকুর রহীম, মোহাম্মদ মিঠুনরাও চেষ্টা করেন রানের চাকা সমানতালে এগিয়ে নিতে। কিন্তু নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়তে থাকায় সেটা আরও কঠিন হয়ে যাচ্ছিলো।
জয়ের জন্য ২১০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে উড়ন্ত সূচনাই করেছিল বাংলাদেশ। দুই ওপেনার তামিম ইকবাল এবং সৌম্য সরকারের উড়ন্ত সূচনার পর ৫.৩ ওভারেই তারা গড়ে ফেলে ৫৯ রানের জুটি।
দুইবার কাছাকাছি সময়ে জোড়া উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। সমীকরণ হয়ে গিয়েছিল কঠিন। বিধ্বংসী ইনিংসে সেই সমীকরণ মেলালেন মোসাদ্দেক হোসেন। কাটালেন ফাইনালের গেরো। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে প্রথম শিরোপা জিতল বাংলাদেশ।
এক সময়ে ৩ ওভারে বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ২৭ রান। ফ্যাবিয়ান অ্যালেনের এক ওভার থেকে ২৫ রান নিয়ে মোসাদ্দেক দলকে নিয়ে যান জয়ের প্রান্তে। বাকিটা সারেন দায়িত্বশীল ব্যাটিং করা মাহমুদউল্লাহ। বাউন্ডারিতে শেষ করে আসেন ম্যাচ।
এর আগে ছয়বারেও যেটি পারেনি বাংলাদেশ সপ্তম চেষ্টায় কাটল ফাইনালের সেই গেরো। মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে মোসাদ্দেক হোসেনের বিস্ফোরক এক জুটিতে ত্রিদেশীয় সিরিজের শিরোপা জিতে নিল বাংলাদেশ।
আরআই/রাতদিন