ক্লাস বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে বই-খাতার পরিমানও। নতুন বছর, নতুন ক্লাস, নতুন ব্যাগ সঙ্গে ব্যাগভর্তি বই-খাতা। আর এই বই-খাতা স্কুল ব্যাগটিকে অনেক বেশি ভারি করে তোলে। যা শিশুদের বয়ে নিয়ে যেতে হয় স্কুলে।
কখনো কি ভেবে দেখেছেন, এই ভারি স্কুল ব্যাগের চাপে পড়ে শিশু তার শৈশবের স্বাচ্ছন্দ্য হারাচ্ছে। সঙ্গে ব্যাগের ভারে অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে পড়ছে শিশুরা। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিশুর স্বাস্থ্যও।
বিশেষজ্ঞদের মতে, শুধু ক্লান্তিই নয়, ভারি স্কুল ব্যাগ আরো অনেক শারীরিক সমস্যার পথ প্রশস্ত করে। শিশুর শরীরের গঠন, বাড়-বৃদ্ধি পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে ভারি স্কুল ব্যাগের চাপে।
জেনে নেয়া যাক ভারি স্কুল ব্যাগের জন্য শিশুর শরীরের কী কী ক্ষতি হচ্ছে-
- দীর্ঘদিন ভারি ব্যাগ নেয়ার ফলে কাঁধের মাংশপেশি শক্ত বা আড়ষ্ঠ হয়ে যায়। ফলে রক্ত চলাচল ব্যাহত হয়ে ঘাড়ে ব্যথা, কাঁধে ব্যথা, কোমরে ব্যথা, হাঁটুতে ব্যথার সৃষ্টি হয়।
- শরীরের একদিকে ভারি ব্যাগ বহনের ফলে দুই কাঁধের ভারসাম্য হারায়। এর ফলে শিশুর মেরুদণ্ড ডান দিকে বা বাঁ দিকে অথবা সামনের দিকে কিছুটা বেঁকে যেতে পারে।
- অতিরিক্ত ওজনের ব্যাগ বহনের ফলে শিশুর মাথা ও ঘাড় সামনের দিকে ঝুঁকে যেতে পারে। ফলে শিশুর শারীরিক বৃদ্ধি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
- ভারি ব্যাগ বহনের ফলে শিশুর দেহভঙ্গি বিগড়ে যেতে পারে। এর ফলে শিশুর শরীরের ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে।
- অতিরিক্ত ওজনের ব্যাগ বহনের ফলে শিশুর ঘাড় ও কাঁধের মাংসপেশির আঘাত দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে।
- এছাড়াও ক্লান্তি, বিষন্নতা, শিশুর অমনযোগী হয়ে পড়ার জন্য অনেক ক্ষেত্রেই দায়ী অতিরিক্ত ভারি স্কুল ব্যাগ।
করণীয়ঃ
অস্থিরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, স্কুল ব্যাগের ওজন শিশুর দুই কাঁধে সমানভাবে বন্টন হওয়া জরুরি। স্কুল ব্যাগের সমস্ত ওজন কোনো ভাবেই যেন শরীরের একদিকে না থাকে। এতে শিশুর শরীরের ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে। পিঠে নেয়া স্কুল ব্যাগের ঝুল যেন কোনভাবেই শিশুর কোমরের নিচে না যায়।
জেএম/রাতদিন