রাতদিন ডেস্ক, পাটগ্রাম (লালমনিরহাট) :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লালমনিরহট-১ (হাতীবান্ধা-পাটগ্রাম) আসনের স্বতন্ত্রপ্রার্থীর সমর্থক ও ইউপি সদস্য আলাউদ্দিন সুমনকে মারপিটের অভিযোগ উঠেছে। ঈগল মার্কার প্রার্থী আতাউর রহমান প্রধানের পক্ষে প্রচারণা চালানোর সময় নৌকা মার্কার প্রার্থীর লোকজনেরা আটক করে বেধড়ক মারপিট করেছে উল্লেখ করে ওই ইউপি সদস্য পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) ও থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রমতে, সুমন জগতবেড় ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নং ওয়ার্ডের সদস্য। তিনি গত মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮ টার সময় স্থানীয় কচুয়ারপাড় বাজারে ঈগল মার্কার প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা চালাতে থাকেন। এ সময় জগতবেড় ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি রাবিউল ইসলাম রাকিব, জগতবেড় ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি পল্লব কুমার, সহসভাপতি আল আমিন, একই কমিটির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান দিপু সুমনকে আটক করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মারধর করতে থাকে। এ সময় ইউপি সদস্য সুমনের চিৎকারে স্থানীয় এগিয়ে আসলে সরে যান তাঁরা।
এ ব্যাপারে আলাউদ্দিন সুমন বলেন, ‘ঈগল মার্কার পক্ষে প্রচার করার সময় ছাত্রলীগের ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড কমিটির নেতারা আমাকে আটক করে। অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং বেধড়ক পিটাতে থাকে। এ সময় তাঁরা হুমকি দিয়ে ঈগলের পক্ষে ভোট চাইলে বাড়িতে থেকে বের হতে দিবে না। নৌকার ভোট করতে বলে। না করলে এলাকায় থাকতে দিবে না। এমনকি জানে মেরে ফেলারও হুমকি দেয়।’
আভিযোগ অস্বীকার করে, জগতবেড় ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি পল্লব কুমার বলেন, ‘আমার ওয়ার্ডে গিয়ে দেখি গ্যানজাম। এ সময় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সম্পাদক উপস্থিত ছিলেন। একটু চিল্লাচিল্লি হইছে, ঈগলের মার্কার জন্য না। নৌকার মিছিলে এরা ঢুকছিলো। এ কারণে নাকি দু’এক কথা বলেছে এতটুকুই।’
জগতবেড় ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি রাবিউল ইসলাম রাকিব বলেন, ‘না এ রকম কোনো ঘটনা ঘটেনি।’
পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’