গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারি রেস্তোরাঁয় ২০১৬ সালের ১ জুলাই ভয়াবহ ও নৃশংস জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দেশি-বিদেশি ২০ জন নাগরিককে নির্মমভাবে হত্যা করে সশস্ত্র জঙ্গিরা। তাদের ছোড়া গ্রেনেডে মারা যায় পুলিশের দুই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
নিহতদের মধ্যে নয়জন ইতালির নাগরিক, সাতজন জাপানের নাগরিক, একজন ভারতীয় নাগরিক, একজন বাংলাদেশ-আমেরিকার দ্বৈত নাগরিক, দুজন বাংলাদেশি নাগরিক ও দুজন পুলিশ কর্মকর্তা রয়েছেন। এ ছাড়া পরবর্তী সময়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টের দুজন স্টাফ মারা যান। নিহত ইতালির নয় নাগরিক হলেন- মার্কো টোনডাট, ভিনজেনজো ডি’অ্যালেস্ট্রো, সিমোনা মন্টি, মারিয়া রিবোলি, নাদিয়া বেনেভেট্ট, অ্যাডেলে পুগলিসি, ক্লদিও ক্যাপেলি, ক্রিশ্চিয়ান রসি ও ক্লদিয়া মারিয়া ডি’অ্যান্টোনা।
জাপানের সাত নাগরিক হলেন- হিডেকি হাশিমোটা, কোয়া ওগাসাওয়ারা, মাকোটো ওকামুরা, হেরোশি তানাকা, ইয়োকি সাকাই, নোবুহিরো কোরুসাকি ও রুই শিমোডাইরা।
ভারতীয় নাগরিক তারিশি জৈন, বাংলাদেশ-আমেরিকার দ্বৈত নাগরিক অবিন্তা কবির, বাংলাদেশি দুই নাগরিক ইশরাত জাহান আখন্দ ও ফারাজ আইয়াজ হোসেন এবং দুই পুলিশ কর্মকর্তা, সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. রবিউল করিম ও পুলিশ পরিদর্শক সালাউদ্দিন আহম্মেদ খান ভয়াবহ ওই হামলায় নিহত হন।
পরে হলি আর্টিজানের দুজন স্টাফ সাইফুল চৌকিদার ও জাকির হোসেন শাওন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। সেদিন জঙ্গি হামলায় গুরুতর আহত হন ৩০ থেকে ৩৫ জন পুলিশ সদস্য। তবে যৌথ বাহিনীর কমান্ডো অভিযানে পাঁচ জঙ্গিও নিহত হয়।
এনএ/রাতদিন