নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলায় সরকারিভাবে বোরো ধান সংগ্রহ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। সংগ্রহ অভিযান শুরুর দুই মাস পেরুলেও অর্জনের হার শতকরা পাঁচ ভাগেরও নিচে রয়েছে।
লক্ষ্যমাত্রা এক হাজার ৫শ’ ৯৪ মেট্টিক টনের বিপরীতে গত সোমবার, ২৭ জুলাই পর্যন্ত সংগৃহিত হয়েছে মাত্র ৮০ টন।
জানা গেছে, গত ২ জুন থেকে এখানে ধান সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়। সরকারি সংগ্রহ মূল্যের চেয়ে বর্তমানে ধানের বাজারমূল্য বেশি হওয়ায় কৃষকরা সরকারি ক্রয়কেন্দ্রের ধান বিক্রিতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না বলে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে। ফলে এবারে উপজেলায় সরকারি ভাবে ধান-চাল সংগ্রহে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের সম্ভাবনা শুন্যের কোঠায় বলে অনুমান করছেন সংশ্লিষ্টরা।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এবারে উপজেলায় ধান ১ হাজার ৫৯৪ মেট্রিক টন, চাল ২ হাজার ৬৬৩ মেট্রিক টন এবং আতপ চাল ৮৪ মেট্টিক টন সংগ্রহের সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। সরকারিভাবে ধান প্রতি কেজি ২৬ টাকা, চাল কেজি প্রতি ৩৬ টাকা এবং আতপ চাল ৩৫ টাকা দরে ক্রয় মূল্য নির্ধারণ করা হয়।
চাল সংগ্রহের জন্য উপজেলার ২৩টি চালকল মালিকের সঙ্গে চুক্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে পাঁচটি অটো রাইস মিল, ১৭টি হাসকিং মিল ও ১টি মিনি অটো মিল (আতপ)। সারাদেশে গত ২৬ এপ্রিল থেকে ধান এবং ৭ মে থেকে চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়েছে। চলবে ৩১ আগষ্ট পর্যন্ত। তবে এবারে সৈয়দপুর উপজেলা ২ জুন থেকে ধান এবং ১৪ জুন থেকে চাল সংগ্রহ শুরু করা হয়। ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান শুরুর পর থেকে গত সোমবার (২৭ জুলাই) পর্যন্ত এখানে মাত্র ধান ৮০ মেট্রিক টন, চাল ১ হাজার ২৯৯ মেট্রিক টন এবং আতপ চাল ৩৭ মেট্রিক টন সংগৃহিত হয়েছে।
কৃষকদের সঙ্গে সরসারি কথা বলে জানা গেছে, সরকারি খাদ্য গুদামে প্রতি মন ধান ১ হাজার ৪০ টাকা দরে ক্রয় করা হচ্ছে। অথচ উপজেলার হাটবাজারে ধানের দাম বেশি। ফলে সরকারিভাবে কেউ ধান বিক্রিতে অগ্রহী হয়ে উঠছেন না। সরকারি খাদ্য গুদামে ধান বিক্রির জন্য কৃষকদের আগ্রহী করতে চেষ্টা অব্যাহত থাকলেও তেমন সাড়া মিলছে না।
সৈয়দপুর সরকারি খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ফজলুল হক চলতি বোরো মৌসুমে ধান সংগ্রহের মন্দা দশার বিষয়টি স্বীকার করেন। তিনি জানান, এবারে বোরো মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় এবং বর্তমানে বাজারে ধানের দাম চড়া হওয়ায় কৃষকরা সরকারি খাদ্য গুদামে ধান বিক্রিতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না।
জেএম/রাতদিন