রাতদিন ডেস্ক, হাতীবান্ধা
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলা তিস্তা ব্যারাজ এলাকায় অবৈধ বিলাশবহুল আলোচিত বৈরালী হোটেলসহ ৪৭টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন পানি উন্নয়ন বোর্ড। এ সময় নির্বাহী ম্যাজিট্রেট ইসফাত উল কবির, নাজিয়া নওরিন, ফরিদ আল সোহান উপস্থিত ছিলেন।
বুধবার দুপুরে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গা দখল করে গড়ে উঠেছিল এসব অবৈধ স্থাপনা।
জানা গেছে, লালমনিরহাটে হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামলের মালিকানাধীন ব্যাপক আলোচিত বৈরালী হোটেলসহ ৪৭ টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে এসব স্থাপনা উচ্ছেদের আইনি নোটিশ দেয়া হলেও তা সরানো না হলে। আদালতের নির্দেশে তিনজন ম্যাজিস্ট্রেট সহ শতাধিক পুলিশ প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তার উপস্থিতিতে ওই সব স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।
হাতীবান্ধা উপজেলা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, আদালতের নির্দেশনা পুলিশ প্রশাসন অবৈধ উচ্ছেদ অভিযানে সহায়তা করছে।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা উপজেলা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন,আদালতের নির্দেশনা পুলিশ প্রশাসন অবৈধ উচ্ছেদ অভিযানে সহায়তা করছে।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদৌলা বলেন, তিস্তা ব্যারাজ এলাকার ফ্ল্যাট বাই পাস একটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা এই এলাকায় কোন প্রকার অবৈধ স্থাপনা থাকবে না। ব্যারাজ এলাকার ৪৭টি অবৈধ স্থাপনার মালিকদের কয়েকবার নোর্টিশ করার পরেও তারা সরে না গেলে। অবৈধ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
লালমনিরহাট জেলা এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট ইসফাত-উল-কবির বলেন, আদালতের নির্দেশে তিস্তা ব্যারাজ এলাকার পানি উন্নয়ন বোর্ডের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছাদে তিন সদস্য একটি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট টিম এসে। অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।