হাতীবান্ধা থানা থেকে ছাড়া পেলেন ৪২, সদরে ইউপি চেয়ারম্যানকে আটক করেছে র্যাব
লালমনিরহাট সদর ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রফিককে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে র্যাব । বুধবার, ২৬ ডিসেম্বর দুপুরের দিকে রংপুর র্যাবের একটি দল হারাটি এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে বলে জানিয়েছে র্যাব সূত্র।
এদিকে রংপুর র্যাব-১৩ থেকে পাঠানো মোবাইল ফোনের একটি ক্ষুদে বার্তায় ওই চেয়ারম্যানকে ‘নাশকতা মামলার আসামী’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
জানা গেছে, আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত রফিক কিছুদিন আগে দল বদল করে বিএনপিতে যোগ দিয়েছিলেন।
এদিকে লালমনিরহাট-১ আসনের বিএনপির প্রার্থী ব্যারিস্টার হাসান রাজীব প্রধানের ধানের শীষের পক্ষে একটি ‘উঠান বৈঠক’ চলাকালে সেখান থেকে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের ৭৯জন নেতাকর্মীকে
মঙ্গলবার, ২৫ ডিসেম্বর থানায় নিয়ে আসার পর ছেড়ে দেয়া হয়েছে ৪২জনকে।
বাকি ৩৭জনকে সরকারি কাজে বাধাদানের অভিযোগে দায়েকৃত একটি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে বুধবার, ২৬ ডিসেম্বর আদালতে পাঠানো হয়েছে। হাতীবান্ধা থানার এসআই নূর আলম বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন বলে জানা গেছে। এদের মধ্যে ৩২ জন বিএনপি, চারজন জামায়াত ও একজন শিবিরের রাজনীতির সাথে জড়িত বলে জানিয়েছে পুলিশ।
৭৯ জনকে আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে হাতীবান্ধা থানার ওসি ওমর ফারুক বলেন, ‘আটককৃতদের মধ্য থেকে ৪২ জনকে ছেড়ে বাকি ৩৭জনকে আদালতে পাঠানো হয়। পরে আদালত তাদের জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন’।
এর আগে গত মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার ভেলাগুড়ি ইউনিয়নের এক বিএনপি নেতার বাড়ি থেকে পুলিশ ও বিজিবি’র যৌথ দল ৭৯জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
লালমনিরহাট-১ আসনের বিএনপি প্রাথী ব্যারিস্টার হাসান রাজীব প্রধান মঙ্গলবার অভিযোগ করে বলেন, ‘ছাতুর দিঘী বাজারের পাশের এক বাড়িতে ধানের শীষের উঠান বৈঠক চলাকালে প্রথমে বিজিবি বাড়িটি ঘিরে ফেলে। পরে পুলিশে এসে সেখান থেকে ৭৯জন নেতাকর্মীকে থানায় নিয়ে যায়’।
এমআরডি-০৭/২৬.১২.২০১৮