২৪টির বেশি বিদেশি চ্যানেল বাংলাদেশে ক্লিনফিড বা বিজ্ঞাপনমুক্ত সম্প্রচার সেবা দেয় বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
সোমবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্স (অ্যাটকো) এর প্রতিনিধি দলের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।
এসময় প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মো. মকবুল হোসেন, অ্যাটকোর সভাপতি অঞ্জন চৌধুরী, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোজাম্মেল হক, সদস্য আহম্মেদ জোবায়ের, ডিবিসি নিউজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মঞ্জুরুল ইসলামসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমি জানতে পেরেছি, বিদেশি যেসব চ্যানেল ক্লিনফিড দিচ্ছে, গতকাল ১৭টি চ্যানেলের কথা বলেছিলাম। আসলে ১৭টি নয়, ২৪টির বেশি চ্যানেল বাংলাদেশে ক্লিনফিড দেয়। সুতরাং এগুলো চালানোর ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই।
আকাশ ডিটিএইচ এসব চ্যানেল সম্প্রচার করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, অন্যদেরও এগুলো চালানোর ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই। এ বিষয়ে কোনো চিঠির প্রয়োজন হলে আমরা তা ক্যাবল অপারেটরদের কাছে পাঠাব। যদি এরপরও কেউ এগুলো না চালায় তাহলে লাইসেন্সের শর্তভঙ্গ হবে। সুতরাং শর্তভঙ্গের কাজ কেউ করবেন না।
বাংলাদেশের আকাশ উন্মুক্ত, সরকারের পক্ষ থেকে কোনো চ্যানেল বন্ধ করতে বলা হয়নি বলেও জানান তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, আমরা শুধু বলেছিলাম, বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী, যা পৃথিবীর সব দেশেই আছে। সেটি হচ্ছে বিদেশি চ্যানেলকে অবশ্যই বিজ্ঞাপনমুক্ত সম্প্রচার করতে হবে এবং সেটি ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, আমেরিকা সব জায়গায়ই মানা হয়। কিন্তু আমাদের দেশে মানা হচ্ছিল না।
আইনটি মানার জন্য দুই বছর ধরে তাগাদা দেওয়া হচ্ছিল বলেও জানান সরকারের এ মন্ত্রী। তিনি বলেন, সবপক্ষের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করা হয়েছে। এক মাসের বেশি সময় আগে আমরা বৈঠক করে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত ছিল, ১ অক্টোবর থেকে আমরা আইনটি কার্যকর করব।
তিনি আরও বলেন, একটি মহল থেকে ক্লিনফিড নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করা হয়েছে। আমি আশা করব, তারা বিভ্রান্তি ছড়ানো থেকে বিরত থাকবেন।
সরকার আইন বাস্তবায়নে বদ্ধপরিকর বলেও জানান তিনি। মন্ত্রী আরও বলেন, জনগণের স্বার্থে, মিডিয়া ইন্ড্রাস্ট্রির স্বার্থে, শিল্পী-কলাকৌশলী, সাংবাদিক সবার স্বার্থে এ আইন কার্যকর করেছি। সুতরাং সবার স্বার্থের বিরুদ্ধে গিয়ে কেউ অবস্থান নেবে, সেটি কাম্য নয়।
এর আগে ক্লিনফিড বাস্তবায়নের জন্য তথ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান অ্যাটকোর নেতারা।