আগামী ২৪ ডিসেম্বর (সোমবার) প্রাথমিক সমাপনী ও জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) এবং জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে। ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মু. জিয়াউল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সুত্রে জানা গেছে, আগামী ২৪ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী বই উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন। আর ১ জানুয়ারি শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ অথবা শিক্ষা সচিব মো. সোহরাব হোসাইন সারাদেশে একযোগে বই উৎসবের উদ্বোধন করবেন। শিক্ষামন্ত্রী যদি উৎসবের দিন অংশ নিতে না পারেন তাহলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব বই উৎসবের উদ্বোধন করবেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, জেএসসি পরীক্ষার ফল ২৫ থেকে ২৭ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকাশ করতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে সময় চাওয়া হয়েছিল। তবে প্রধানমন্ত্রী ২৪ ডিসেম্বর সময় দিয়েছেন।
অন্যদিকে প্রাথমিক সমাপনীর ফল ২৬ বা ২৭ ডিসেম্বর প্রকাশের সময় চেয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী ২৪ তারিখের সম্মতি দেওয়ায় দুই সমাপনীর ফল প্রকাশ হবে একই দিনে।
বুধবার (১৯ ডিসেম্বর) ঢাকা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২৪ ডিসেম্বর বেলা সাড়ে ১২ টায় জেএসসি পরীক্ষার ফল স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানে এবং অনলাইনে একযোগে প্রকাশ করা হবে। ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে রেজাল্ট কর্ণারে ক্লিক করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ইআইআইএন এন্ট্রি করে প্রতিষ্ঠানভিত্তিক রেজাল্ট শিট ডাউনলোড করা যাবে। এছাড়া www.educationboard.gov.bd ওয়েবসাইটে রেজাল্ট কর্ণারে ক্লিক করেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ইআইআইএন এন্ট্রি করে রেজাল্ট শিট ডাউনলোড করা যাবে। এছাড়া জেলা প্রশাসক ও ইউএনওদের ইমেইলে রেজাল্ট শিট পাঠানো হবে। প্রয়োজনে ডিসি ও ইউএনওদের কাছ থেকে ফলের হার্ডকপি সংগ্রহ করতে শিক্ষকদের বলেছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড।
গত কয়েক বছরও পঞ্চম ও অষ্টমের সমাপনীর ফল একই দিনে প্রকাশ করা হয়। সাধারণত ডিসেম্বের শেষে এই ফল ঘোষণা করা হলেও এবার ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটের তারিখ থাকায় আগেই ফল প্রকাশের প্রস্তুতি নেয় দুই মন্ত্রণালয়।
প্রসংগত, গত ১৮ থেকে ২৬ নভেম্বর প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনীতে ৩০ লাখ ৯৫ হাজার ১২৩ জন ক্ষুদে শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছে। আর ১ থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত জেএসসি-জেডিসিতে অংশ নেয় ২৬ লাখ ৭০ হাজার ৩৩৩ জন শিক্ষার্থী। দুই পরীক্ষায় অংশ নেয়া মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৫৭ লাখ ৬৫ হাজার ৪ শত ৫৬জন।