রংপুরে প্রেমিকার সঙ্গে ভাড়া করা বাড়িতে দেখা করতে এসে আটক পুলিশ কর্মকর্তা কামরুল হাসান অবশেষে ওই নারীকে বিয়ে করেছেন। ৫১ লাখ টাকা দেনমোহরে এই বিয়ে সম্পন্ন হয়।
মঙ্গলবার, ২৩ অক্টোবর গভীর রাতে নগরীর কোতোয়ালি থানার পাশে একটি হোটেলে প্রেমিকার সঙ্গে বিয়ে হয় তার। তবে কাজির খাতায় রেজিস্ট্রি দেখানো হয় ২১ অক্টোবর।
রংপুর জেলা মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রুমানা জামান বলেন, মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে নগরীর বনানীপাড়ার একটি ভাড়া বাসা থেকে তাদেরকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। পরে পুলিশের মধ্যস্থতায় রাত ৩টার দিকে হোটেল তিলোত্তমায় পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ৫১ লাখ ১ হাজার ৫৩ টাকা দেনমোহর নির্ধারণ করে বিয়ে দেয়া হয়। তবে কাবিননামায় ২১ অক্টোবরের তারিখে রেজিস্ট্রি করানো হয়।
সংশিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রংপুরের মিঠাপুকুরের বালারহাটের মৃত তোফাজ্জল হোসেনের মেয়ে রেকাসানা পারভীন স্মৃতি ২০১৬ সালে কারমাইকেল কলেজে ইংরেজি বিভাগ থেকে মাস্টার্স পাস করেন। তার সঙ্গে প্রায় দুই বছর আগে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম দলিরাম মাগুড়া গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে কামরুল হাসানের। তারা রংপুর নগরীর বিভিন্ন এলাকায় স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করতেন। গত ৩ মাস আগে বনানীপাড়ার একটি বাসা ভাড়া নেন।
এরই মধ্যে ৩৬তম বিসিএসে পুলিশ বাহিনীতে চাকরি পেয়ে সদ্য প্রশিক্ষণ শেষ করেন কামরুল। আগামী সপ্তাহে চট্টগ্রাম রেঞ্জ পুলিশে সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করার কথা তার। সম্প্রতি মেয়েটি বিয়ের জন্য চাপ দিলে এতে অস্বীকৃতি জানান কামরুল। একপর্যায়ে স্মৃতি মহিলা পরিষদে লিখিত অভিযোগ দেন।
এদিকে মঙ্গলবার কামরুল বনানীপাড়ার ওই বাসায় গেলে স্মৃতি মহিলা পরিষদের নেতৃবৃন্দকে তার আসার বিষয়টি অবগত করেন। পরে মহিলা পরিষদের নেতৃবৃন্দ বনানীপাড়া গিয়ে কামরুলকে দেখার পর পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে নগরীর কোতোয়ালি থানা পুলিশ সেখান থেকে দুইজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
এন এ/রাতদিন