কুড়িগ্রাম জেলা সরকারি গণগ্রান্থাগারের সামনে দাঁড়িয়েছিলেন তাঁরা। সংখ্যায় মাত্র পাঁচজন। ‘মোবাইল ইউজার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-কুড়িগ্রাম অঞ্চলের’ ব্যানার হাতে। সাথে ছিল হ্যান্ডমাইক।
এ দৃশ্য সোমবার, ৮ জুলাই সকালের। মানববন্ধনটিতে মাত্র পাঁচজন অংশ নিলেও সেখান থেকে উঠেছে কোটি কোটি সাধারণ মোবাইলফোন গ্রাহকের অনেক দাবির কথা।
দিল্লুর রহমান নামের একজন ফেসবুকে সেই মানববন্ধনের কথা তুলে ধরেছেন। পাঠকদের জন্য সেটি হুবুহু তুলে ধরা হলো :
মোবাইল নেটওয়ার্ক কোম্পানিগুলো বাংলাদেশের ১৫ কোটি ৮৪ লাখের বেশি মোবাইলফোন সাবস্ক্রাইবার এবং ৮ কোটি ৭৮ লাখের বেশি ইন্টারনেট সাবস্ক্রাইবার এর পকেট থেকে বিভিন্ন প্রতারণায় ডিজিটাল ডাকাতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। তার উপর নতুন করে ২৭% করারোপ আয় বৈষম্যের স্বীকার বিশাল এই জনগোষ্ঠীর কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এই ডিজিটাল ডাকাতির প্রতিবাদে ‘মোবাইল ইউজার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ কুড়িগ্রাম অঞ্চল’ সারা দেশের ন্যায় আজ রাস্তায় দাঁড়িয়েছে ।
আমরা মাত্র পাঁচজন ছিলাম এ আমাদের গর্ব। আর লজ্জা বাকী জনগণের যারা নীরবে মেনে নিয়েছে। আমরা নিচের দাবীগুলো নিয়ে কথা বলেছি এবং দূর থেকেও বেশ সমর্থন পেয়েছি। টেলিটকের নেটওয়ার্ক উন্নয়ন এবং ঢাকার রিক্সাওয়ালা ভাইদের নিয়েও বলেছি।
‘মোবাইল ইউজার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ’ এর দাবীসমূহঃ
১. জাতীয় বাজেটে মোবাইলে ২৭% নতুন করারোপ বাতিল করতে হবে।
২. প্রতিমিনিট ভ্যাটসহ ২৫ পয়সা করতে হবে।
৩. মোবাইল ইন্টারনেট সর্বসাকুল্যে অনুর্ধ্ব ১ জিবি ১ টাকা করতে হবে।
৪. মিনিট ও ডাটার মেয়াদ আনলিমিটেড করতে হবে।
৫. কোন প্রকার সাবসক্রিপশন করতে হলে নেটওয়ার্ক কোম্পানি সরাসরি গ্রাহককে ফোন করে তাদের আগ্রহের কথা জানাবেন। গ্রাহক ইচ্ছুক হলে সাবস্ক্রাইব করবেন।
৬. অটোকল বা মেসেজ দিয়ে কাউকে সাবসক্রাইবার করা যাবে না।
৭. প্রদানকৃত লোনের টাকা ২৫ পয়সা মিনিটের বেশি কাটতে পারবে না।
৮. সকল ক্ষেত্রে প্রতিসেকেন্ড পালস বাধ্যতামূলক।
৯. মোবাইল নেটওয়ার্ক কোম্পানি কোন বিষয়ে গ্রাহকের সাথে প্রতারণা করেছে প্রমানিত হলে, তাৎক্ষণিক অর্থনৈতিকভাবে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এবং কোম্পানিকে জরিমানা করে জরিমানার টাকা অভিযোগকারী গ্রাহককে দিতে হবে।
১০. রিচার্জকৃত টাকার হিসাব মোবাইল নেটওয়ার্ক কোম্পানি গ্রাহককে চাহিবামাত্র দিতে বাধ্য থাকিবে।
১১. কোন কল ড্রপ হলে প্রতি ড্রপের জন্য গ্রাহক ২ মিনিট বা সমপরিমাণ টাকা ফেরত পাবেন।
১২. বিনামূল্যে কাস্টমার সার্ভিস ব্যবস্থা চালু করতে হবে।
সংগঠিত জনগণই ইতিহাসের নির্মাতা!
এইচএ/রাতদিন