সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় বিয়ের গাড়িবহরের একটি গাড়িতে রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় বর-কনে ও শিশুসহ কমপক্ষে ৯ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়াও ট্রেন থেকে ছিটকে পড়ে ৬ জন ও মাইক্রোবাসের ৪ জন আহত হয়েছেন। সোমবার, ১৫ জুলাই পৌণে সাতটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
সিরাজগঞ্জ জিআরপি থানার ওসি হারুন মজুমদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহতদের মধ্যে বর রাজন (২৫) ও কনে সুমাইয়া খাতুন (২০)-এর পরিচয় পাওয়া গেছে। বর রাজন হোসেন সিরাজগঞ্জ জেলা সদরের কান্দাপাড়া গ্রামের আলতাব হোসেনের ছেলে এবং কনে সুমাইয়া খাতুনের বাড়ি উল্লাপাড়ার চরঘাটিনায়। নিহতদের মধ্যে বর-কনে ছাড়া একজন শিশু এবং একজন বরের বোন। বাকিদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে কনের বাড়ি চরঘাটিনা থেকে নতুন বউকে নিয়ে বরসহ অন্যরা কান্দাপাড়ার বাড়িতে ফেরার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, বরযাত্রীসহ মাইক্রোবাসটি উল্লাপাড়ার ঘাটিনা থেকে সিরাজগঞ্জ জেলা সদরের কান্দাপাড়ায় যাচ্ছিল। সলপ স্টেশনের উত্তরে পঞ্চক্রোশী আলী আহম্মদ উচ্চবিদ্যালয়ের পাশে উন্মুক্ত লেভেল ক্রসিং পারাপারের সময় মাইক্রোবাসটির সঙ্গে ট্রেনের ধাক্কা লাগে।
অরক্ষিত রেলওয়ে লেভেল ক্রসিং-এর কারণেই এ দুর্ঘটনাটি ঘটে বলে জানিয়েছেন উল্লাপাড়া থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মো. গোলাম মোস্তফা।
তিনি জানান, উন্মুক্ত লেভেল ক্রসিং পারাপার হওয়ার সময় বিয়ের গাড়িবহরের একটি মাইক্রোবাসে ট্রেনের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই বেশ কয়েকজন মারা যান। রেলওয়ে লেভেল ক্রসিং-এ কোনও ব্যারিয়ার বা বার্জ ছিল না। এমনকি সেখানে রেল বিভাগের কোনও পাহারাও ছিল না।
পশ্চিমাঞ্চল রেল বিভাগের পাকশীর বিভাগীয় ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) মিজানুর রহমান জানান, এটা রেল বিভাগের নির্ধারিত কোনও লেভেল ক্রসিং নয়। স্থানীয় লোকজন নিজেদের স্বার্থে চলাচলের জন্য সেখানে উন্মুক্ত রেখেছে। দুর্ঘটনার পর দেড়ঘণ্টা দেরিতে ট্রেনটি ছেড়ে ঢাকার দিকে গেছে।
এবি/রাতদিন