প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অনেকেই পাগলের মতো মাস্ক কিনছেন। এটা করার দরকার নাই। শুধুমাত্র যাদের সর্দি-কাশি আছে তাদের সাবধানে থাকতে হবে। যাতে তার দ্বারা অন্য কেউ সংক্রামিত না হয়। সেজন্য সাবধান থাকা ভালো। বাইরে গেলে ফেরার সাথে সাথে যথাযথভাবে হাত ধুয়ে ফেলতে হবে।
সোমবার, ৯ মার্চ সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, মাস্ক অনেকে কিনে জমা করছে, যার কোনো প্রয়োজনই নেই। পরে ওই মাস্ক কোনো কাজে আসবে না, হয় বিক্রি করতে হবে না হয় ফেলে দিতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের কাছে জনগণের কল্যাণ সব থেকে বড়। জাতীয় কমিটি ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর উদযাপন কমিটি এবং আমি গতকাল মিটিং করেছি। আমরা উদযাপন করবো তবে একটু ভিন্নভাবে। যাতে লোকসমাগম কম হয়। যাতে করে কোনোভাবেই জনগণ ঝুঁকির মধ্যে না পড়ে। যেহেতু বিশ্বব্যাপী এটা একটা আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে।
তিনি বলেন, আমাদের এতো লোক প্রবাসে আসা যাওয়া করছে। কার মধ্যে কী আছে, আমরা জানি না। সংক্রামণ যেন না হয় সেদিকে আমরা লক্ষ রাখছি। ইতালি ফেরত দুইজনকে কোয়ারান্টিনে রেখেছি ও তাদের পরিবার কোথায় কোথায় গেছে তার খোঁজ নিয়েছি। আমাদের সাবধান থাকা দরকার। যে সকল দেশে ভাইরাস দেখা দিয়েছে, সে সকল দেশে অনলাইন ভিসা বন্ধ করে দিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে ঢাকার একটা হাসপাতাল সুনির্দিষ্ট করে রেখেছি। জেলা পর্যায়েও প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। নার্স ডাক্তারদের সেভাবে নির্দেশনা দেওয়া আছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু, প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মতিয়া চৌধুরী, সভাপতি মন্ডলীর সদস্য শাজাহান খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক প্রমুখ।
এনএ/রাতদিন