আব্দুল গফুর মাস্টারের ছেলে শাহাদত আলম (৩৫)। সপ্তাহখানেক ধরে শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন তিনি। চিকিৎসকের পরামর্শে নিয়মিত ওষুধ সেবন করছিলেন। তবে গতকাল বৃহস্পতিবার, ২৩ জুলাই সন্ধ্যায় নিজ বাড়িতে তিনি মারা যান।
করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া ওই ব্যক্তির মরদেহ দাফনে এগিয়ে আসেনি পরিবার বা গ্রামবাসী। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উলফৎ আরা বেগমের অনুরোধে একটি স্বেচ্ছাসেবী দল এসে আজ শুক্রবার, ২৪ জুলাই ভোরে প্রায় ১০ ঘন্টা পর ওই ব্যক্তির দাফন সম্পন্ন করে।
রংপুরের কাউনিয়ায় উপজেলার সারাই ইউনিয়নের কাঁচু আলুটারী গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, করোনার উপসর্গে নিয়ে মারা যাওয়ায় সংক্রমণের ভয়ে পরিবারের লোকজন এবং ওই গ্রামের কেউ শাহাদাতের মরদেহ গোসল ও দাফনে এগিয়ে আসেনি। প্রায় ১০ ঘণ্টা মরদেহ বাড়ির উঠানে পড়ে ছিল।
জানা গেছে, শাহাদত আলম ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। আগে থেকেই তিনি শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। বৃদ্ধা মাসহ বাড়িতে ছিলেন শাহাদত। মৃত্যুর পর তার মরদেহের পাশে মাকেও আসতে দেয়নি পরিবারের লোকজন।
সারাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন।
এবি/রাতদিন
উত্তরের মুখ