উচ্ছেদ অভিযানের মধ্যেও দেশে নদী দখলদারের সংখ্যা বেড়েছে। গত বছর সারাদেশে নদী দখলদারের সংখ্যা ৬৩ হাজার ২৪৯ জন। যা ২০১৯ সালে ছিল ৫৭ হাজার ৩৯০ জন। আজ মঙ্গলবার, ১২ জানুয়ারি বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানিয়েছে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন।
এতে জানানো হয়, প্রতিটি বিভাগেই পেশি শক্তি ও প্রভাব বিস্তার করে নদীর মধ্যে বা ফোরশোরে বড় বড় কিছু অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। বারবার তাগাদা দেয়া সত্ত্বেও ওইসব স্থাপনা উচ্ছেদ করা যায়নি। এমনকি সরকারি স্থাপনাও সরিয়ে নেয়া সম্ভব হয়নি। করোনাভাইরাস সংক্রমণ এবং লজিস্টিক ও অর্থ সংকটের কারণে নদী দখলদারদের উচ্ছেদ কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদার। তিনি বলেন, আমরা ২০১৯ সালের নদী দখলদার ও উচ্ছেদের প্রতিবেদন প্রকাশ করছি। ওই বছর নদীর দখলদার ৫৭ হাজার ৩৯০ জন। এরমধ্যে উচ্ছেদ করা হয়েছে ১৮ হাজার ৫৭৯ জনকে। যা নদী দখলকারীর ৩২ দশমিক ৩৭ শতাংশ। ২০২০ সালের তথ্য এখনো পুরোপুরি সংগ্রহ করা হয়নি। এ পর্যন্ত জেলা প্রশাসকদের কাছ থেকে যে তথ্য পেয়েছি তাতে সারা দেশের নদী দখলদারের সংখ্যা ৬৩ হাজার ২৪৯ জন। তিনি বলেন, নদী দখলদার চিহ্নিত করার কাজ অব্যাহত থাকবে।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, ঢাকা বিভাগের জেলাগুলোতে নদীর অবৈধ দখলদারের সংখ্যা আট হাজার ৮৯০ জন। এরমধ্যে উচ্ছেদ করা হয়েছে এক হাজার ৪৫২ জনকে। এসব জেলায় দখলদারের ৫০ শতাংশ উচ্ছেদ করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম বিভাগের জেলাগুলোতে নদী দখলদার ৪ হাজার ৭০৪ জন। এরমধ্যে উচ্ছেদ করা হয়েছে ২৩০ জনকে। খুলনা বিভাগে ১১ হাজার ২৪৫ জন নদী দখলদার রয়েছেন। এরমধ্যে চার হাজার ৮৯০ জনকে উচ্ছেদ করা হয়েছে। বরিশাল বিভাগের পাঁচ হাজার ৬১১ জন দখলদারের মধ্যে উচ্ছেদ করা হয়েছে ৭৯৩ জনকে। সিলেট বিভাগের দুই হাজার ৪৪ জন নদী দখলদার রয়েছেন। তাদের মধ্যে উচ্ছেদ হয়েছে ৫৭৬ জন। ময়মনসিংহ বিভাগের জেলাগুলোতে চার হাজার ৮৪৮ জন নদী দখলদারের মধ্যে এক হাজার ৭০৭ জনকে উচ্ছেদ করা হয়েছে।
রংপুর বিভাগের নদীগুলোতে দুই হাজার ৭৬০ জন দখলদার রয়েছে। এর মধ্যে ৮১৩ জনকে উচ্ছেদ করা হয়েছে। রাজশাহী বিভাগের দুই হাজার ৬৯৩ জন দখলদারের উচ্ছেদ করা হয়েছে ৪১ জনকে।
এবি/রাতদিন