তথ্য অধিকার আইনের মাধ্যমে রাষ্ট্র ও প্রতিষ্ঠান থেকে জনগণের তথ্যপ্রাপ্তির অধিকার নিশ্চিত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন রংপুরের জেলা প্রশাসক আসিব আহসান।
তিনি বলেছেন, রাষ্ট্রের সব কাজ ও সব ব্যয়ের জন্য জনগণের কাছে জবাবদিহিতা করতে হবে। জনগণের তথ্যপ্রাপ্তির অধিকার সাংবিধানিক। কারণ দেশের সংবিধান অনুসারে প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ। সরকার সংবিধান অনুসরণ করে জনগণের ক্ষমতায়ন, কর্তৃপক্ষের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধি, দুর্নীতি হ্রাস এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য দেশে তথ্য অধিকার আইন-২০০৯ প্রণয়ন করেছে।
শনিবার দুপুরে রংপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির মিলনায়তনে একটি প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন জেলা প্রশাসক।
আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস উপলক্ষে জেলা প্রশাসন ও দি এশিয়া ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় কুইজ ও বায়োবারি বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করে ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড রিসোর্সেস ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ-এমআরডিআই। এতে বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ থেকে প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়া বিজয়ী শিক্ষার্থীদের পুরস্কৃত করা হয়।
আলোচনা পর্বে বক্তরা বলেন, জনগণের ক্ষমতায়নের জন্য তথ্য অধিকার আইন। রাষ্ট্রীয় আয় ও ব্যয়ের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে জনগণের তথ্য অধিকার নিশ্চিত করা আবশ্যক। জনগণের তথ্য অধিকার নিশ্চিত হলে ‘জনগণের ক্ষমতায়ন’ ঘটবে। রাষ্ট্রে জনগণের মালিকানা প্রতিষ্ঠিত হবে। জনগণ তাদের অধিকার আদায় করতে পারবে।
রংপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও এমআরডিআইয়ের বিভাগীয় সমন্বয়কারী রফিকুল ইসলাম সরকার রফিকের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন, সচেতন নাগরিক কমিটি-সনাক রংপুরের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা সদরুল আলম দুলু, জাতীয় মহিলা সংস্থার রংপুরের চেয়ারম্যান রোজি রহমান, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এএম শাহজাহান সিদ্দিক। স্বাগত বক্তব্য রাখেন এমআরডিআইয়ের নির্বাহী পরিচালন হাসিবুর রহমান।
আয়োজকরা জানান, তথ্য জনার অধিকার সবার রয়েছে। এই অধিকার নিশ্চিতের জন্য যুব সমাজকে উদ্বুদ্ধ করতেই তাদের এই আয়োজন। গত ২৮ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস পালিত হয়। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ছিল -‘তথ্য আমার অধিকার, জানা আছে কি সবার।
এনএ/ রাতদিন