রংপুর মেডিকেলে আগুন, পুড়ে গেছে ৭ নম্বর ওয়ার্ড

অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি ছাড়াই ফায়ার সার্ভিসের ৬টি ইউনিট ৩০ মিনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

সোমবার, ২০ ডিসেম্বর সকাল সোয়া ১০টার দিকে হাসপাতালের তৃতীয় তলার সাত নম্বর ওয়ার্ডে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর রংপুরের উপ-পরিচালক সালেহ উদ্দিন জানিয়েছেন, খবর পেয়ে সকাল সাড়ে ১০টায় হাসপাতালে ছুটে আসেন তারা। এসময় আগুন আতঙ্কে রোগী ও স্বজনরা ছোটাছুটি করেন। বন্ধ করে দেয়া হয় গোটা হাসপাতালের বিদ্যুৎ ও অক্সিজেন সরবরাহ লাইন। অন্ধকার ও আগুনের কালো ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে পুরো ওর্য়াড।

রংপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ নুরুন্নবী লাইজু অগ্নিকান্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, দুর্ঘটনার কারণ এখনো জানা যায়নি। তবে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণের করছেন। এ ঘটনায় কেউ আহত হননি।

হাসপাতালের পরিচালক রেজাউল করিম জানান, তৃতীয় তলায় বক্ষব্যাধি, লিভার, চর্মরোগ, মানসিক রোগসহ মোট সাতটি বিভাগ আছে। সেখানে সব মিলিয়ে ৩৫ রোগী ভর্তি ছিলেন। ওই তলার রোগীদের নিরাপদে স্থানান্তর করা হয়েছে। আগুনে কয়েকটি বিছানা ও এসি পুড়ে গেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে এলে দুর্ঘটনার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানানো হবে।

হাসপাতালের জরুরি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, একজন মানসিক রোগী ওয়ার্ডের বেডের ম্যাট্রেসে আগুন লাগিয়ে দেয়। সেখান থেকে আগুন ছড়িয়ে পরে। ৭নং ওয়ার্ডে চর্ম, যৌন, হেমাটোলজি, নিওরো মেডিসিন, হেপাটোলজি, রেসপেকটরি মেডিসিন, মানসিক বিভাগসহ মোট সাতটি বিভাগ রয়েছে। এর মধ্যে মানসিক বিভাগের এক রোগী ভুলবশত আগুন ধরিয়ে দিলে শর্ট সার্কিটের কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে বারান্দা ও ডাক্তারের চেম্বার পর্যন্ত পৌঁছে যায়। তিনি বলেন, এতে ৪০টি ম্যাট্রেস, ১০টি বেড, কম্পিউটার ও একটি ল্যাপটপ পুড়ে যায়। আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে রোগীদের সরিয়ে নেয়ার কারণে কেউ আহত হননি।

বাবার চিকিৎসার জন্য রমেক হাসতালে আসা যুবক পিয়াল বলেন, চিল্লাচিল্লি শুনতে পেরে ঐ ওয়ার্ড থেকে দ্রুত আমার বাাবাকে নিয়ে বের হয়ে আসি। এই ওয়ার্ডের সব রোগী আমার মতো বের হতে পেরেছে।

জেএম/রাতদিন