কুড়িগ্রাম পৌর এলাকায় হরিজন সম্প্রদায়ের এক বিয়ের অনুষ্ঠানে বর ও কনে পক্ষের সংঘর্ষে এক যুবক নিহত হয়েছেন। বিদায় অনুষ্ঠানে নাচ-গান করার সময় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়।
আজ সোমবার, ৭ মার্চ সকাল সাড়ে ৬টার দিকে কুড়িগ্রাম পৌর এলাকার পুরাতন রেলস্টেশন সংলগ্ন মেথর পট্টিতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রাহুল বাশফোর গাইবান্ধা শহরের কাছারিবাজার এলাকার প্রদীপ বাশফোরের ছেলে।
এদিকে এ ঘটনায় ওই এলাকায় ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও বাড়িঘরে হামলার ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সদর থানা পুলিশ সেখানে অবস্থান করছে।
জানা যায়, কুড়িগ্রাম শহরে পুরনো রেলস্টেশনসংলগ্ন হরিজনপল্লীতে সুমন হরিজনের মেয়ে অন্তরা রানীর (১৬) সঙ্গে শিল্প পুলিশে চাকরিরত রনি বাশফোরের বিয়ের আয়োজন চলছিল।
সোমবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে কন্যা বিদায়ের সময় উভয়পক্ষের লোকজন আনন্দ-উৎসব করছিল। এ সময় কথা কাটাকাটির জেরে রাহুল বাশফোর নামে বরপক্ষের এক যুবককে ছুরিকাঘাত করা হলে ঘটনাস্থলেই তিনি লুটিয়ে পড়েন। পরে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ফলে ৩-৪ জন আহত হয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
গাইবান্ধা হরিজন সম্প্রদায় কমিটির সভাপতি কীর্তন বাশফোর জানান, রাহুল বাশফোর নামে বরযাত্রীর এক যুবকের বুকের বা পাশে ছুরিকাঘাত করে মেরে ফেলা হয়েছে। আমরা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
কুড়িগ্রাম সদর থানার ওসি খান মো. শাহরিয়ার জানান, গাইবান্ধা থেকে ১০টি মাইক্রোতে দেড়শ বরযাত্রী আসেন। সোমবার সকালে বিয়ে শেষে বিদায় অনুষ্ঠানে নাচ-গান করার সময় তুচ্ছ ঘটনা কেন্দ্র করে সংঘর্ষে একজন মারা যায়।
বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। মরদেহের সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের প্রস্তুতি চলছে। এখনও মামলা হয়নি।