এবার সাংবাদিক হত্যা মামলায় রাম রহিমের যাবজ্জীবন


‘একজন প্রকৃত রিপোর্টার গায়ে বুলেট নিতে পারে, জুতো নয়’

ডেরা সাচ্চা সওদা নামের ধর্মীয় গোষ্ঠীর প্রধান এবং স্বঘোষিত ধর্মীয় গুরু গুরমিত রাম রহিম সিংকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন ভারতের একটি আদালত। বৃহস্পতিবার, ১৭ জানুয়ারি এ রায় ঘোষণা করেন আদালত।

‘রকস্টার বাবা’ হিসেবে পরিচিত রাম রহিম সিং তার দুজন নারী অনুসারীকে ধর্ষণের দায়ে আগে থেকেই ২০ বছরের কারাদন্ড ভোগ করছেন।

এবার একটি হিন্দি পত্রিকার সম্পাদক রাম চন্দর ছত্রপতিকে হত্যার অভিযোগে তার যাবজ্জীবন কারাদন্ড হলো। রাম রহিমের আস্তানায় নারীদের যৌন নির্যাতনের শিকার হওয়ার খবর প্রকাশ করায় ওই সম্পাদককে হত্যা করা হয়েছিল।

৫১ বছর বয়সী গুরমিত রাম রহিম সিং নিজেকে ধার্মিক আধ্যাত্মিক গুরু বলে তুলে ধরতেন এবং সারা দুনিয়া থেকে আসা অনুসারীদের তিনি কৌমার্য এবং ব্রহ্মচর্যের শপথ নিতে বলতেন।

সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে, ২০০২ সালে সাংবাদিক ছ্ত্রপতি তার ‘পুরা সাচ’ নামের পত্রিকায় একটি চিঠি প্রকাশ করেন। যা নাম প্রকাশ না করে লিখেছিলেন রাম রহিম সিংয়ের এক অনুসারী। তিনি লেখেন, ‘সেই ধর্মীয় গোষ্ঠীর ভেতরে যৌন অনাচারের কথা’।

চিঠি প্রকাশের মাত্র পাঁচদিনের মাথায় ২০০২ সালের ২৪ অক্টোবর ডেরা সাচ্চা সওদার অনুসারীরা রাম চন্দর ছত্রপতিকে তার বাড়ির সামনেই গুলি করে। পরে কয়েকদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর তিনি মারা যান।

তবে ততদিনে তার পত্রিকায় প্রকাশিত চিঠি নিয়ে বড় আকারের  তদন্ত শুরু হয়ে ভারতে।

পরবর্তিতে নিহত ছত্রপতির  ছেলে অংশুল এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘তার বাবাকে সহকর্মীরা সতর্ক করেছিলেন যে তাকে হত্যার চেষ্টা হতে পারে। কিন্তু জবাবে মি. ছত্রপতি নাকি বলেছিলেন যে ‘একজন প্রকৃত রিপোর্টার গায়ে বুলেট নিতে পারে, জুতো নয়’।

এর আগে রাম রহিম ধর্ষণের মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর দেশটিতে ব্যাপক সহিংসতায় মারা গিয়েছিলেন অন্তত ২৮ জন।

এইচএ/১৮.০১.১৯