নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান প্রায় ৩ ঘন্টা তাঁর কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে রাখেন প্রতিষ্ঠানের বিক্ষুদ্ধ শিক্ষক-কর্মচারীরা। বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর বিদ্যালয়ে ঘটনাটি ঘটে।
বুধবার, ২৩ অক্টোবর শিক্ষা মন্ত্রণালয় ঘোষিত ২৭৩০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্তির তালিকা প্রকাশ করা হয়। কিন্তু তালিকায় প্রতিষ্ঠানটির নাম না থাকায় বিদ্যালয়ের বিক্ষুব্ধ শিক্ষক-কর্মচারীরা বৃহস্পতিবার বিদ্যালয় কক্ষে প্রধান শিক্ষককে অবরুদ্ধ করে রাখেন। খবর পেয়ে সৈয়দপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাকে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে উদ্ধার করেন।
এমপিওভুক্তি থেকে বঞ্চিত শিক্ষক-কর্মচারীরা জানান, নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের কুন্দল এলাকায় অবস্থিত বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়টি বিগত ১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে গত ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠানটির নিম্ন মাধ্যমিক শাখা (৬ষ্ঠ-৮ম শ্রেণী) এমপিওভূক্ত হয়। এরপর বিদ্যালয়ের মাধ্যমিক শাখা (নবম-দশম শ্রেণী) এমপিওভূক্তির জন্য প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ সকল শর্ত পূরণ করে ও নিয়মকানুন মেনে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আবেদন করে। আবেদনের পর বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীরা প্রতিষ্ঠানটি এমপিওভূক্তি হবে এমন বুকভরা আশা নিয়ে অপেক্ষার প্রহর গুনছিলেন।
এ অবস্থার মধ্যে দীর্ঘ প্রায় নয় বছরের মাথায় গত বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের ২ হাজার ৭৩০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভূক্তির ঘোষণা দেন। কিন্তু তালিকায় সৈয়দপুর শহরের বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়ের নাম নেই।
এতে করে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীরা হতাশ হয়ে পড়েন । এর এক পর্যায়ে বিক্ষুদ্ধ শিক্ষক-শিক্ষিকা ও কর্মচারী প্রধান শিক্ষক জগদীশ চন্দ্র রায়ের কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে অবরুদ্ধ করেন।
বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জগদীশ চন্দ্র রায় বলেন, বিদ্যালয়টি এমপিওভূক্তকরণের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সকল শর্তপূরণ পূর্বক যথাযথভাবে আবেদন করা হয়। আর এমপিওভূক্তি করার এখতিয়ার সম্পূর্ণ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের। এতে আমার কোন রকম গাফিলাতি কিংবা অবহেলা নেই।
এনএইচ/রাতদিন