কোচবিহারসহ উত্তরবঙ্গের ৮ আসনের ৫টি পাচ্ছে বিজেপি?

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের প্রথম থেকেই এবার উত্তরবঙ্গকে আলাদা গুরুত্ব দিয়েছিল বিজেপি। এ অঞ্চলের আট আসনে তিন দফায় ভোট হয়েছে এখানে। সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী একাধিকবার সভা করেছেন। তিনি যেমন কোচবিহারে সভা করেছেন, তেমনই বাদ যায়নি বালুরঘাটও।

রোববার, ১৯ মে এক্সিট পোল বা বুথফেরত সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, এই আলাদা গুরুত্ব দেওয়ার ফসল তুলতে পারে বিজেপি। এবিপি আনন্দ-এসি নিয়েলসেনের সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, আটের মধ্যে পাঁচটি আসন পেতে পারে বিজেপি। তৃণমূল পেতে পারে দুটি এবং কংগ্রেসের ভাগে জুটতে পারে একটি আসন।

সমীক্ষা অনুযায়ী, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, দার্জিলিং, বালুরঘাট ও মালদহ উত্তর আসনে জিততে পারে বিজেপি। উল্টো দিকে, তৃণমূলের ঝুলিতে আসতে পারে জলপাইগুড়ি আর রায়গঞ্জ আসন দুটি। কংগ্রেস পেতে পারে মালদহ দক্ষিণ আসনটি।

বুথফেরত সমীক্ষা যে সব ক্ষেত্রে মিলে যায়, এমন নয়। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে, বুথফেরত সমীক্ষার ফল বাস্তবের ধারেকাছেও যায়নি। অনেক ক্ষেত্রে আবার দুই ফল হুবহু মিলেও গিয়েছে। তাই মানুষ কী ভাবছেন এবং ভোটবাক্সে তার প্রতিফলনই বা কী হতে পারে, তার একটা আভাস পাওয়ার ক্ষেত্রে বুথফেরত সমীক্ষা অনেক সময়ই কার্যকরী ভূমিকা নেয়।

এ বারের সমীক্ষা মিলবে কিনা, সেটা ২৩ তারিখই জানা যাবে। তবে সমীক্ষা অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে, উত্তরবঙ্গে আগের বার জেতা তিনটি আসন হারাতে পারে তৃণমূল— কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও বালুরঘাট।

২০১৪ সালে কোচবিহারে সাংসদ হন তৃণমূলের রেণুকা সিংহ। তিনি হঠাৎ মারা গেলে ২০১৬ সালে এই কেন্দ্রে উপনির্বাচন হয়। তাতে চার লাখেরও বেশি ভোটে জেতেন তৃণমূলের পার্থপ্রতিম রায়। বামেদের পিছনে ফেলে দ্বিতীয় হয় বিজেপি। এ বারে যদি তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত নিশীথ প্রামাণিক বিজেপির টিকিটে জিতে যান, তা হলে ওই চার লাখের ব্যবধান টপকে যাবে তারা।

এবি/রাতদিন