ইংল্যান্ড এন্ড ওয়েলস ক্রিকেট বিশ্বকাপে ৩টি ম্যাচ বৃষ্টিতে পণ্ড হয়ে গেছে। এর ফলে অসময়ে বিশ্বকাপ আয়োজন ও রিজার্ভ ডে না রাখায় তীব্র সমালোচনার মুখে ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। তবে রিজার্ভ ডে না রাখার বিষয়ে মুখ খুললো আইসিসি।
এ প্রসঙ্গে আইসিসির প্রধান নির্বাহী ডেভিড রিচার্ডসন আত্মপক্ষ সমর্থন করে বলেছেন, রিজার্ভ ডে রাখা অত্যন্ত জটিল হবে।
গ্রুপ পর্বের কোনো ম্যাচে রিজার্ভ ডে না রাখার বিষয়ে যুক্তি দেখিয়ে তিনি বলেন, প্রতিটি ম্যাচের জন্য একটি রিজার্ভ ডে টুর্নামেন্টকে আরো দীর্ঘ করবে। কার্যত এটি হবে অত্যন্ত জটিল প্রক্রিয়া।
তিনি জানান, প্রতিটি ম্যাচ আয়োজন ও সম্প্রচারে দায়িত্বপালন করেন প্রায় ১২’শর বেশি কর্মী। সুতরাং রিজার্ভ ডে রাখতে হলে এই সংখ্যাও উল্লেখযোগ্য হারে বাড়াতে হবে।
এই মৌসুমে বিশ্বকাপ আয়োজনের বিষয়ে যৌক্তিকতা দেখাতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘ইংল্যান্ডের দক্ষিণ-পূর্ব দিকে ২০১৮ সালের জুনে মাত্র ২ মি.মি. বৃষ্টিপাত হতে দেখা গেছে। সেখানে এই সপ্তাহে ১০০ মি.মি বৃষ্টিপাত হয়েছে।
গতকাল বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার ম্যাচটি বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বাংলাদেশের কোচ স্টিভ রোডস। শ্রীলংকার সঙ্গে পয়েন্ট ভাগাভাগি করতে বাধ্য হওয়ার পর তিনি প্রশ্ন উত্থাপন করেন, আমরা চাঁদে মানুষ পাঠাতে পারি তাহলে কেন একটা রিজার্ভ ডে রাখতে পারলাম না? যখন এটা একটা দীর্ঘ মেয়াদী আসর।
রিজার্ভ ডে রাখার সুযোগ দেখিয়ে তিনি বলেন, আমাদের ম্যাচগুলোর মধ্যে দীর্ঘ গ্যাপ আছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ৩/৪ দিনেরও বেশি সময় আছে। উদাহরণ হিসেবে বাংলাদেশের পরবর্তী ম্যাচ পাঁচ দিন পরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বলে জানান তিনি। বৃষ্টির কারণে দর্শকদের বঞ্চিত হওয়ার বিষয়টিও স্মরণ করিয়ে দেন স্টিভ রোডস।
তিনি বলেন, দর্শকরাও হতাশ হচ্ছেন। কারণ তারা টিকেট কেনেন একটি ক্রিকেট ম্যাচ দেখবেন বলে। রিজার্ভ ডে থাকলে তারা হয়ত ম্যাচটি উপভোগ করতে পারতো।
রিজার্ভ ডে’র বিষয়ে শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্নে বলেন, একটা রিজার্ভ ডে থাকলে খুব ভালো হতো। যেহেতু এটা একটা সর্বোচ্চ টুর্নামেন্ট এবং আমরা মাত্র ৯টি ম্যাচ খেলবো।
এছাড়াও ইংল্যান্ডের মতো জায়গায় এই সময়ে প্রচুর বৃষ্টিপাতের আশংকা থাকার পরও বিশ্বকাপ আয়োজন করায় আইসিসির সমালোচনায় মুখর ক্রিকেট প্রেমীরা। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে নানান ভাষায় আইসিসিকে ট্রল করতে থাকেন তারা। এই আসরে এ পর্যন্ত ১৬টি ম্যাচের তিনটি ম্যাচ ভেসে গেছে বৃষ্টিতে। এরমধ্যে দুটি ম্যাচে টসও করা সম্ভব হয়নি। যা এই ধরনের কোনো আসরে আগে দেখা যায়নি। এর আগে সবচেয়ে বেশি ১৯৯২ ও ২০০৩ বিশ্বকাপে দুটি করে ম্যাচ বাতিল হয়েছে।
এনএইচ/ রাতদিন