বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে লড়াই ছিলো জোড় কদমে। স্বপ্ন দেখা, আশার প্রহর গোনা ছিলো অবিরত। কিন্তু অনেকগুলো উত্তরহীন প্রশ্নেই হেরে গেল বাংলাদেশ।
কেমন ছিলো লড়াই? ৪০ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ২৪৫। ওই অবস্থায় অস্ট্রেলিয়ার স্কোর ছিল ২৫০। ৩০ ওভার পর্যন্ত উইকেট বেশি হারালেও রানে এগিয়ে ছিলেন সাকিব-তামিমরাই। ৩১ থেকে ৪০ ওভারের মধ্যে অস্ট্রেলিয়া ৮২ রান নিয়েছে। বাংলাদেশ নিয়েছে ৬৮ রান। খুব বেশী পার্থক্য নেই এখানেও।
এই যে লড়াই, এতে স্বপ্ন দেখার পুরো প্রেক্ষাপটই ছিলো প্রস্তুত। হয়তো তা-ই ষোল কোটি প্রাণকে আশায় আন্দোলিত করেছে।
ম্যাচের পার্থক্যটা তাহলে তৈরী হলো কোথায়? ওই যে আগেই বলেছি, উত্তরহীন কিছু প্রশ্ন! নাহলে ৪১ থেকে ৪৬—এই ৬ ওভারে ৯৬ রান কেন তুলবে অস্ট্রেলিয়া। ৩৮২ রানের লক্ষ্যে নেমে ৪২ ওভার পর্যন্ত ১০৭টি বল ডট কেন দেবে বাংলাদেশ?
অথবা এই ম্যাচেই মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও মোসাদ্দেকের কেন চোটে পড়বে? মাঝের ওভারে উইকেট তুলে নেওয়ার ব্যর্থতা ও স্লগ ওভারে রান আটকানোর কাজটা কেউ করতে না পারার কাছেই যে হারল বাংলাদেশ।
কেনইবা ১০ রানের মাথায় ওযার্নারের ক্যাচ ফেলে দিয়ে তাকে ১৬৬ করার সুযোগ দেবেন সাব্বির।
শেষ দশ ওভারে বাংলাদেশ ৪ উইকেট ৮৮ রান তুলেছে, অস্ট্রেলিয়াও ঠিক ৪ উইকেট হারিয়ে তুলেছে ১৩১ রান। ম্যাচের মীমাংসা এখানেই হয়ে গেছে আজ। ডেথ ওভারে বোলিং দক্ষতা আজ আরও একবার বড় হয়ে দেখা দিল বাংলাদেশের ম্যাচে।
বিশ্বকাপে আরও ৩ ম্যাচ বাকি। সে তিন ম্যাচে জিততেই হবে বাংলাদেশকে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আজকের হার অন্তত বাংলাদেশকে সে তিন ম্যাচ নিয়ে আশা দেখাচ্ছে। ওয়ানডেতে নিজেদের সর্বোচ্চ সংগ্রহকে ১৯ দিনের মধ্যে দুবার নতুন করে লিখেছে বাংলাদেশ।
এই ম্যাচ আমাদেরকে আর কিছু না দিক চারশ’র কাছাকাছি রান তাড়া করার সামর্থ যে আমাদের রয়েছে তা দেখিয়েছে। আত্মবিশ্বাসের এই দৃঢ় বোধটুকুই হয়তোবা পরের ৩ ম্যাচ জিতে বাংলাদেশকে সেমিফাইনালে খেলার স্বপ্নও দেখাবে।
জেএম/রাতদিন