অর্থ আত্মসাতের মামলায় দিনাজপুর জেলা মৎস্য অফিসের উপ-সহকারী প্রকৌশলী ও এক ঠিকাদারকে আটক করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সমন্বিত জেলা কার্যালয় দিনাজপুর।
বুধবার, ১১ ডিসেম্বর বিকেল সাড়ে ৩টায় বালুবাড়ী এলাকা থেকে দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত দিনাজপুর জেলা কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ জিন্নাতুল ইসলাম এর নেতৃত্বে তাদের আটক করা হয়।
মামলার বিবরণীতে জানা যায়, দিনাজপুরের পুলহাট এলাকায় মৎস্যবীজ উৎপাদন খামারের ৪টি পুকুর পুনঃখনন, সীমানা প্রাচীর নির্মাণ ও উত্তোলিত বালু অবৈধভাবে বিক্রি বাবদ মোট ১৫ লাখ ৮৭ হাজার ৭ শত ২১ টাকা আসামিদের বিরুদ্ধে পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অর্থ আত্মসাত করার প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে।
দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত দিনাজপুর জেলা কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ জিন্নাতুল ইসলাম জানান, দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে এ বিষয়ে মামলার অনুমোদন পেয়ে দিনাজপুর জেলা মৎস্য অফিসের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো: মঞ্জুরুল ইসলাম, মৎসবীজ উৎপাদন খামার পুলহাটের খামার ব্যবস্থাপক মো: ফয়জার রহমান, মেসার্স দ্বীপ এন্টারপ্রাইজ এর প্রো: দিলরুবা আলী ও ঠিকাদার মো: আফসার আলীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় আজ দুইজনকে আটক করা হয়েছে।
আটক আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/১০৯ ধারা এবং ১৯৪৭ সানের ২নং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা নং-১০।
এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয় দিনাজপুরের উপ-পরিচালক আবু হেনা আশিকুর রহমান জানান, আমরা দুর্নীতি দমন কমিশনের হটলাইন ১০৬ নম্বর থেকে আসামিদের বিরুদ্ধে প্রাথমিক অভিযোগ পাই। এ বিষয়ে ঢাকা অফিস থেকে মামলার অনুমোদন পেলে মামলা দায়ের করি এবং আসামিদের আটক করি। মামলার অপর দুই আসামির মধ্যে একজন ঢাকায় ট্রেনিং এ আছেন এবং অপরজনকে আটকের চেষ্টা চলছে।
এনএ/রাতদিন