কলকাতার ব্রিগেড ময়দান। দেশটির রাজনীতিতে জড়িয়ে নানা ভাবে। বিভিন্ন সময়ে পশ্চিম বাংলার এই ব্রিগেড থেকে এসেছে ভারতীয় রাজনীতির পূর্বাভাস। ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি সেখানে সভা করেন, কিছুটা বাংলাতে ভাষণও দেন।
সর্বশেষ শনিবার, ১৯ জানুয়ারি সেই ব্রিগেডেই মোদি বিরোধী শক্তিকে একজোট করলেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। ২৩টি রাজনৈতিক দলকে এক মঞ্চে এনে জানান দিলেন তিনি আর আঞ্চলিক নেত্রী নন। আলোচিত ব্রিগেডের মাধ্যমেই চলে এলেন তিনি জাতীয় রাজনীতির লাইমলাইটে।
এই ব্রিগেডেই বক্তব্য রেখেছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সাথে ছিলেন ভারতের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধি। সেটি ১৯৭২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারির কথা। সেদিন সেখানে ১০ লাখেরও বেশি মানুষ হাজির হয়েছিলেন বলে খোদ ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর খবরেই বলা হয়।
দেশটির গণমাধ্যমগুলো বলছে, ‘শনিবার অনুষ্ঠিত মমতার ব্রিগেড সমাবেশেও জনস্রোত নেমেছিল। কিন্তু সংখ্যাটা ১০ লক্ষ ছোঁয়নি। ফলে প্রায় পাঁচ দশক পরেও অক্ষুন্ন থাকলো বঙ্গবন্ধুর ব্রিগেড সমাবেশের রেকর্ড’।
শনিবারের ব্রিগেড সমাবেশের আগে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষে ১০ লক্ষেরও বেশি মানুষ আসার কথা বলা হলেও সংখ্যাটা কোনভাবেই ১০ লক্ষ ছাড়ায়নি বলে জানা গেছে ভারতীয় গণমাধ্যগুলোর পরিবেশিত খবর থেকে।
প্রসঙ্গত ১৯৭২ সালে পাকিস্তান কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধি সেদেশে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। সেই আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে বঙ্গবন্ধু ৬ ফেব্রুয়ারি ইন্দিরা গান্ধির সাথে যোগ দিয়েছিলেন ব্রিগেড সমাবেশ। যেখানে উভয় দেশের অন্তত ১০ লক্ষ মানুষ উপস্থিত হয়েছিলেন।
এইচএ/২০.০১.১৯