মানব শরীর দিয়ে কম্পোস্ট বা জৈব সার তৈরির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন রাজ্য। অনুমোদনের এই আইন অনুযায়ী, মৃত্যুর পর নিজের শরীরকে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে কম্পোষ্ট সার তৈরির নির্দেশনা দিয়ে যেতে পারবেন যে কেউ।
মঙ্গলবার, ২১ মে ওয়াশিংটন রাজ্যের গভর্নর জে ইনস্লে এ আইনের অনুমোদন দেন।
প্রচলিত রীতির কবর দেয়ার যে পদ্ধতি রয়েছে তার বিকল্প হিসেবে দেখা হচ্ছে এই পদ্ধতিকে। ধারণা করা হচ্ছে যেসব শহরে কবরস্থানের বা নতুন করে কবর দেয়ার সংকট তৈরি হয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে এটি একটি বিকল্প সমাধান হতে পারে।
মাটির সঙ্গে মিশে মৃতদেহ সারে পরিণত হওয়ার পর, সেই মাটি তার প্রিয়জনদের দেয়া হবে, যাতে তারা ফুলগাছ, সবজির চারা বা বৃক্ষ রোপণ করতে পারেন।
বিলটির পক্ষে আন্দোলনকারী ক্যাটরিনা স্পাড এএফপিকে বলেছেন, ”সাধারণ কবর দেয়ার বদলে এরকম মাটির সাথে মিশে যাওয়ার বিকল্প পদ্ধতি হবে প্রাকৃতিক, নিরাপদ, স্থায়ী এবং পৃথিবীর ভূমির ব্যবহার ও কার্বন নিঃসরণ কমাতে ভূমিকা রাখবে।”
তিনি এজন্য একটি কোম্পানি গঠন করেছেন, যারা এ ধরণের কাজে সহায়তা করবে।
পরিবেশ-বান্ধব সমাধি:
স্পাড বলছেন, ছয়টি কোণ বিশিষ্ট একটি ইস্পাতের বাক্সের ভেতর এক ধরণের উদ্ভিদ-যা প্রাণী দেহ কেন্দ্র করে বেড়ে ওঠে, কাঠের টুকরো আর খড়কুটো দিয়ে মৃতদেহ রাখা হবে।
এরপর সেই বাক্সটি বন্ধ করে দেয়া হবে। পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে প্রাকৃতিকভাবেই মৃতদেহ পচে যাবে এবং মাটিতে পরিণত হবে।
পরিবেশ-বান্ধব সমাধি প্রকৃতি দিনে দিনে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
মানব মৃতদেহকে সারে পরিণত করার প্রক্রিয়াটি এর আগেই সুইডেনে আইনসিদ্ধ করা হয়েছে। সুইডেনের পাশাপাশি কোন বাক্স বা কফিন ছাড়া মৃতদেহ সমাধির প্রাকৃতিক সমাধি প্রক্রিয়া যুক্তরাজ্যেও আইনগত বৈধতা পেয়েছে।
এবার এই তালিকায় যুক্ত হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।